ঢাকা , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ছারছীনা পীর সাহেব হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন ২০২৬ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যরাতে ঢাকা গাজীপুর খুলনা সহ একযোগে ১৫ জেলার ডিসি বদল জয়পুরহাটে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের নয় সদস্য গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কেনো প্রতিবার অবহেলা— প্রশ্ন রুমিন ফারহানার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা; স্থানীয় সাংবাদিক মহলের নিন্দা

বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর কর্মীদের সংঘর্ষে এএসপিসহ আহত ১৫

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৬:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯২৩ বার পড়া হয়েছে

এভবার মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে জেলার কালকিনি উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) দুপুরে শোড়াউন করে কালকিনি উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করেন। এ সময় তার সাথে অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তিনি উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনার মঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের সাথে কথা বলছিলেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন শহীদ মিনার মঞ্চে বক্তব্য না দেয়ার জন্য রেজাউল করিমকে অনুরোধ করেন।

পরে রেজাউলকে তার রুমে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী আসিনুর রহমান খোকন তালুকদারের কর্মী ও কালকিনি পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এইচএম তুহিনের সাথে রেজাউল করিমের সমর্থকদের হাতাহাতি শুরু হয়। পরে মুহূর্তের মধ্যেই দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার চাতক চাকমাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় চাকত চাকমা, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কালকিনিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার চাতক চাকমা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে ঘটনাস্থলে আসি। তবে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমিসহ দুইজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে যে কোন সময়ে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ প্রস্তুত আছে।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন বলেন, রেজাউল সাহেব বেশকিছু লোকজন নিয়ে উপজেলা চত্বরে মিছিল করছিলেন। আমি গিয়ে তাকে অনুরোধ করে আমার রুমে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে কিছু লোকজন এসে তাদের উপর হামলা করে। পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো আছে। তবে সংঘর্ষের বিষয় বিএনপি মনোনীত দুই প্রার্থীকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোন দিলেও রিসিভ করেনি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর কর্মীদের সংঘর্ষে এএসপিসহ আহত ১৫

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

এভবার মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে জেলার কালকিনি উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) দুপুরে শোড়াউন করে কালকিনি উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করেন। এ সময় তার সাথে অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তিনি উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনার মঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের সাথে কথা বলছিলেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন শহীদ মিনার মঞ্চে বক্তব্য না দেয়ার জন্য রেজাউল করিমকে অনুরোধ করেন।

পরে রেজাউলকে তার রুমে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী আসিনুর রহমান খোকন তালুকদারের কর্মী ও কালকিনি পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এইচএম তুহিনের সাথে রেজাউল করিমের সমর্থকদের হাতাহাতি শুরু হয়। পরে মুহূর্তের মধ্যেই দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার চাতক চাকমাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় চাকত চাকমা, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কালকিনিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার চাতক চাকমা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে ঘটনাস্থলে আসি। তবে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমিসহ দুইজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে যে কোন সময়ে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ প্রস্তুত আছে।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন বলেন, রেজাউল সাহেব বেশকিছু লোকজন নিয়ে উপজেলা চত্বরে মিছিল করছিলেন। আমি গিয়ে তাকে অনুরোধ করে আমার রুমে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে কিছু লোকজন এসে তাদের উপর হামলা করে। পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো আছে। তবে সংঘর্ষের বিষয় বিএনপি মনোনীত দুই প্রার্থীকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোন দিলেও রিসিভ করেনি।