ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা নাটোরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি-জাতীয় পার্টির ৫০ নেতাকর্মী বরিশালে জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মেহেরপুরে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বিএনপির পাঁচ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার ‘ফজু পাগলা’ উপাধিতে গর্বিত বিএনপি প্রার্থী ফজলুর রহমান: বলেন, আমার জন্য সারা দেশের মানুষ পাগল গৌরীপুরে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার জিয়া পরিবারের আদর্শ ধরে রাখতে জীবন দিতেও পিছু হটবো না: এস এম জাহাঙ্গীর শাপলাকলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে এনসিপি: জনগণের রাজনীতি গড়ে তুলতে আহ্বান নাহিদ ইসলামের গৌরীপুরে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ৪০

গাজায় নিশ্চিহ্ন মসজিদ, ধ্বংসস্তূপ থেকেই ভেসে আসছে আজান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

এবার গাজার প্রায় সব মসজিদই এখন ধ্বংসস্তূপ। ইসরায়েলের টানা হামলায় গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মিনার ও নামাজের স্থানগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। তবুও ভগ্নাবশেষের মাঝেই আজান দিচ্ছেন মুয়াজ্জিনরা, নামাজ পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে দ্য ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছরের যুদ্ধ গাজাকে প্রায় মিনারবিহীন করে দিয়েছে। যেসব মসজিদ একসময় নামাজের আহ্বানে মুখর ছিল, সেগুলো এখন ধূলা আর পাথরের স্তূপে পরিণত। শতাব্দীপ্রাচীন স্থাপত্যের কোনো চিহ্ন আর অবশিষ্ট নেই—যেন ইতিহাসই বোমার নিচে বিলীন হয়ে গেছে।

গাজার শুজাইয়্যা এলাকার ৬২ বছর বয়সী আবু খালেদ আল-নাজ্জার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বলেন, আমার বাবার কণ্ঠস্বর চেনার আগেই আমি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ চিনতাম। পঞ্চাশ বছর ধরে এখানে নামাজ পড়েছি, আর আজ মসজিদের দরজার পাশের নামাজের গালিচাটাও ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিয়ে গেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকার ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি পুরোপুরি ধ্বংস এবং ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মামলুক ও অটোমান যুগের শতাব্দীপ্রাচীন মসজিদও রয়েছে।

পুরনো শহরের গ্রেট ওমারি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ২৭ বছর বয়সী মাহমুদ কান্দিল খুঁজছেন কিবলা দেয়ালের পাথর। তিনি বলেন, এই মসজিদ ছিল গাজার প্রাণ। এখন শুধু ধুলো। মনে হচ্ছে তারা শুধু ভবন নয়, আমাদের স্মৃতিও মুছে ফেলতে চায়। আল-দারাজপাড়ায় একসময় ছিল আল-সাইয়্যিদ হাশিম মসজিদ। তার ধ্বংসাবশেষের সামনে বসে ৭৪ বছর বয়সী উম্মে ওয়ায়েল বললেন, আমি অসুস্থ থাকলেও প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে সূরা আল-কাহফ পড়তাম। এখন যাওয়ার জায়গা নেই। তবু ঘরে বসে আমরা কুরআন পড়ব—আল্লাহ আমাদের কথা শুনবেন, যেখানেই থাকি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা

গাজায় নিশ্চিহ্ন মসজিদ, ধ্বংসস্তূপ থেকেই ভেসে আসছে আজান

আপডেট সময় ১০:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

এবার গাজার প্রায় সব মসজিদই এখন ধ্বংসস্তূপ। ইসরায়েলের টানা হামলায় গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মিনার ও নামাজের স্থানগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। তবুও ভগ্নাবশেষের মাঝেই আজান দিচ্ছেন মুয়াজ্জিনরা, নামাজ পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে দ্য ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছরের যুদ্ধ গাজাকে প্রায় মিনারবিহীন করে দিয়েছে। যেসব মসজিদ একসময় নামাজের আহ্বানে মুখর ছিল, সেগুলো এখন ধূলা আর পাথরের স্তূপে পরিণত। শতাব্দীপ্রাচীন স্থাপত্যের কোনো চিহ্ন আর অবশিষ্ট নেই—যেন ইতিহাসই বোমার নিচে বিলীন হয়ে গেছে।

গাজার শুজাইয়্যা এলাকার ৬২ বছর বয়সী আবু খালেদ আল-নাজ্জার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বলেন, আমার বাবার কণ্ঠস্বর চেনার আগেই আমি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ চিনতাম। পঞ্চাশ বছর ধরে এখানে নামাজ পড়েছি, আর আজ মসজিদের দরজার পাশের নামাজের গালিচাটাও ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিয়ে গেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকার ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি পুরোপুরি ধ্বংস এবং ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মামলুক ও অটোমান যুগের শতাব্দীপ্রাচীন মসজিদও রয়েছে।

পুরনো শহরের গ্রেট ওমারি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ২৭ বছর বয়সী মাহমুদ কান্দিল খুঁজছেন কিবলা দেয়ালের পাথর। তিনি বলেন, এই মসজিদ ছিল গাজার প্রাণ। এখন শুধু ধুলো। মনে হচ্ছে তারা শুধু ভবন নয়, আমাদের স্মৃতিও মুছে ফেলতে চায়। আল-দারাজপাড়ায় একসময় ছিল আল-সাইয়্যিদ হাশিম মসজিদ। তার ধ্বংসাবশেষের সামনে বসে ৭৪ বছর বয়সী উম্মে ওয়ায়েল বললেন, আমি অসুস্থ থাকলেও প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে সূরা আল-কাহফ পড়তাম। এখন যাওয়ার জায়গা নেই। তবু ঘরে বসে আমরা কুরআন পড়ব—আল্লাহ আমাদের কথা শুনবেন, যেখানেই থাকি।