ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক ক্লাসে ঢুকে ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীকে মেরে মাথা ফাটালেন শিক্ষক বোরকা ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নেই আফগান নারীদের ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন

চট্টগ্রামের মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:৪৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

চট্টগ্রাম নগরীর দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মো. ইসমাইল (৪৭) কে এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রায় সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী ঘোষণা করেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভিকটিম ছাত্রকে হিফজুল কোরআন বিভাগে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক ইসমাইল বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করতেন। ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ছয় তলার গোসলখানায় ওই ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। ঘটনার খবর ছাত্রের সহপাঠীদের মাধ্যমে মাদরাসা পরিচালনা কমিটিতে পৌঁছলে, ছাত্রের মা চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন। মামলার চার্জশিট ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দাখিল হয়। ২০২৩ সালের ১৪ জুন চার্জগঠন শেষে বিচার শুরু হয়। মামলায় নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণের আলোকে আদালত ইসমাইলের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার মো. সোলাইমান বলেন, “এই রায় শিশু নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।” অন্যদিকে, আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট মো. ফোরকান জানান, তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

ঘটনার পর শিক্ষা ও ধর্মীয় মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সমাজকর্মীরা বলেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অপরাধ শুধু আইনগত নয়, নৈতিকভাবে ও সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, রায়টি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত এবং অন্য অপরাধীদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে।


 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক

চট্টগ্রামের মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ১০:৪৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 

চট্টগ্রাম নগরীর দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মো. ইসমাইল (৪৭) কে এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রায় সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী ঘোষণা করেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভিকটিম ছাত্রকে হিফজুল কোরআন বিভাগে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক ইসমাইল বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করতেন। ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ছয় তলার গোসলখানায় ওই ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। ঘটনার খবর ছাত্রের সহপাঠীদের মাধ্যমে মাদরাসা পরিচালনা কমিটিতে পৌঁছলে, ছাত্রের মা চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন। মামলার চার্জশিট ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দাখিল হয়। ২০২৩ সালের ১৪ জুন চার্জগঠন শেষে বিচার শুরু হয়। মামলায় নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণের আলোকে আদালত ইসমাইলের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার মো. সোলাইমান বলেন, “এই রায় শিশু নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।” অন্যদিকে, আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট মো. ফোরকান জানান, তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

ঘটনার পর শিক্ষা ও ধর্মীয় মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সমাজকর্মীরা বলেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অপরাধ শুধু আইনগত নয়, নৈতিকভাবে ও সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, রায়টি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত এবং অন্য অপরাধীদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে।