এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রভাবে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। জানুয়ারি থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩১৪ জন রোগী—যা দেশের সরকারি ৫৮টি ডেঙ্গু চিকিৎসা কেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চিকিৎসক ও নার্সরা জানাচ্ছেন, রোগীর অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের, ফলে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা দিতে পারছেন না। হাসপাতালের বারান্দা, ছাদ ও খোলা জায়গাতেও এখন রোগীদের রাখা হচ্ছে।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি বছর এখানে ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকার বাইরের রোগী। তবে বর্তমানে রাজধানীর মান্ডা, বাসাবো, খিলগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকার রোগীই বেশি আসছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এবার শক সিনড্রোমের হার বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেকেই উপসর্গ না থাকলেও আতঙ্কে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর (জানুয়ারি–১৪ অক্টোবর) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ হাজার ২৫৭ জন এবং মারা গেছেন ২৩৮ জন। শুধু মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে—তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত ও মৃতদের ঠিকানা বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি অভিযান ও মশা নিধন কার্যক্রম বাড়ানো জরুরি, নইলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























