সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় উল্টে যায় প্রশাসনের স্পিডবোট। সোমবার সকালে ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি না ঘটলেও পানিতে পড়ে যায় আনসার সদস্য তাবিউর রহমান রায়হানের হাতে থাকা সরকারি শটগানটি। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মেলেনি অস্ত্রটির সন্ধান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উমারপুর ইউনিয়নের শৈলজানা এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে টিমটি মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নদীতে যায়। মূল স্রোতে প্রবেশের পর হঠাৎ প্রবল ঘূর্ণিপাকে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। পাশে থাকা আরেকটি নৌকার সহায়তায় সবাইকে উদ্ধার করা হলেও আনসার সদস্যের শটগানটি পানিতে তলিয়ে যায়।
ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ঘটনার সময় পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ ছিল। আমরা দ্রুত উদ্ধার হলেও তাবিউরের হাতে থাকা শটগানটি হারিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে থানায় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
এ ঘটনার পরপরই টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু যমুনার তীব্র স্রোত ও গভীরতা—কখনো ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত—অভিযানে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা রবিউল ইসলাম জানান, নদীর তলদেশে বালুচর দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, ফলে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারি উদ্ধার অভিযানের পাশাপাশি স্থানীয় তরুণরাও স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছে। তারা জাল ফেলে ও দিকচিহ্ন ধরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে, যাতে হারানো শটগানটি উদ্ধার সম্ভব হয়।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















