ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

হাসপাতালে নেই ইনজেকশন, মারা গেলো সাপে কাটা কিশোর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ২৪১ বার পড়া হয়েছে

এবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় ইনজেকশন না থাকায় সাপে কাটা কিশোরকে অ্যান্টভেনম দেওয়া যায়নি। পরে ওই কিশোরের মারা গেছে। গতকাল বুধবার (১৮ জুন) স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ইরফান বাড়ির পাশের জামাল মিয়ার মাছের খামারে নামলে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। ওই কিশোরের নাম ইরফান হোসেন (১৩)। সে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের মাইরাগাঁও গ্রামের মুন্সি বাড়ির শাহ আলমের ছেলে ও ফেনী রশিদিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ইরফান বাড়ির পাশের জামাল মিয়ার মাছের খামারে নামলে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে সে মারা যায়।

ইরফানের পরিবারের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে ইরফানকে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু সাপে কাটা রোগীর প্রয়োজনীয় ইনজেকশন না থাকায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ইনজেকশন না থাকা ও সময়ক্ষেপণে ইরফানের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সালাউদ্দিন বলেন, ইরফানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়। কিন্তু অ্যান্টিভেনম দেওয়ার আগে দুটি ইনজেকশন দিতে হয়। কিন্তু ইনজেকশন দুটি না থাকায় তাকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

হাসপাতালে নেই ইনজেকশন, মারা গেলো সাপে কাটা কিশোর

আপডেট সময় ১১:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

এবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় ইনজেকশন না থাকায় সাপে কাটা কিশোরকে অ্যান্টভেনম দেওয়া যায়নি। পরে ওই কিশোরের মারা গেছে। গতকাল বুধবার (১৮ জুন) স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ইরফান বাড়ির পাশের জামাল মিয়ার মাছের খামারে নামলে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। ওই কিশোরের নাম ইরফান হোসেন (১৩)। সে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের মাইরাগাঁও গ্রামের মুন্সি বাড়ির শাহ আলমের ছেলে ও ফেনী রশিদিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ইরফান বাড়ির পাশের জামাল মিয়ার মাছের খামারে নামলে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে সে মারা যায়।

ইরফানের পরিবারের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে ইরফানকে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু সাপে কাটা রোগীর প্রয়োজনীয় ইনজেকশন না থাকায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ইনজেকশন না থাকা ও সময়ক্ষেপণে ইরফানের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সালাউদ্দিন বলেন, ইরফানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়। কিন্তু অ্যান্টিভেনম দেওয়ার আগে দুটি ইনজেকশন দিতে হয়। কিন্তু ইনজেকশন দুটি না থাকায় তাকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।