ঢাকা , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ছারছীনা পীর সাহেব হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন ২০২৬ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যরাতে ঢাকা গাজীপুর খুলনা সহ একযোগে ১৫ জেলার ডিসি বদল জয়পুরহাটে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের নয় সদস্য গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কেনো প্রতিবার অবহেলা— প্রশ্ন রুমিন ফারহানার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা; স্থানীয় সাংবাদিক মহলের নিন্দা

বাড়িতে আসবে ইলিশ মাছ খাবে, আমার ভাই আর আসলো না: ফার্মগেটে নিহতের ভাই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৫:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯৭৩ বার পড়া হয়েছে

এবার রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে ভারী ধাতব যন্ত্রাংশ (বিয়ারিং প্যাড) পড়ে নিহত হয়েছেন আবুল কালাম (৩৫) নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জলিল চোকদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের জলকাঠি এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মেঝভাবি আছমা বেগম বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আবুল কালামের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। সে বলছিল দু-এক দিনের মধ্যে বাড়িতে আসবে এবং আমি যেন ইলিশ মাছ কিনে রাখি। আমার ভাই আর আসলো না…’

দুর্ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই মেট্রোরেলের ওপর থেকে ধাতব যন্ত্রাংশটি নিচে পড়ে যায় এবং তা আবুল কালামের মাথায় আঘাত হানে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আবুল কালাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি পরিচালনা করতেন। স্বজনরা জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ফার্মগেট এলাকায় যাতায়াত করতেন।

পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক। তার ছেলে আব্দুল্লাহর বয়স ৫ বছর এবং মেয়ে সুরাইয়া আক্তারের বয়স ৩ বছর। নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি চোকদার বলেন, ‘আবুল কালাম খুব পরিশ্রমী ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ ছিলেন। নিজের চেষ্টায় ঢাকায় ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিলেন। এমন আকস্মিক মৃত্যু আমাদের জন্য এক অসম্ভব বেদনার বিষয়। সরকারের অবহেলার কারণে আমার ভাই মারা গেল। এখন তার পরিবারে দায় দায়িত্ব কে নেবে?’

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেট্রোরেলের কাঠামোর ভারসাম্য রক্ষায় ব্যবহৃত ‘বিয়ারিং প্যাড’ নামের ধাতব অংশটি আলগা হয়ে নিচে পড়ে যায়। এদিকে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত হওয়া ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

রোববার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। সড়ক উপদেষ্টা বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সব দায়-দায়িত্ব মেট্রোরেল গ্রহণ করবে। প্রাথমিকভাবে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এরপর যদি পরিবারের মধ্যে কর্মক্ষম কোনো সদস্য থাকে, তাকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আহতদের জন্য তিনি পরে হাসপাতালে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

বাড়িতে আসবে ইলিশ মাছ খাবে, আমার ভাই আর আসলো না: ফার্মগেটে নিহতের ভাই

আপডেট সময় ০৫:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

এবার রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে ভারী ধাতব যন্ত্রাংশ (বিয়ারিং প্যাড) পড়ে নিহত হয়েছেন আবুল কালাম (৩৫) নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জলিল চোকদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের জলকাঠি এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মেঝভাবি আছমা বেগম বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আবুল কালামের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। সে বলছিল দু-এক দিনের মধ্যে বাড়িতে আসবে এবং আমি যেন ইলিশ মাছ কিনে রাখি। আমার ভাই আর আসলো না…’

দুর্ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই মেট্রোরেলের ওপর থেকে ধাতব যন্ত্রাংশটি নিচে পড়ে যায় এবং তা আবুল কালামের মাথায় আঘাত হানে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আবুল কালাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি পরিচালনা করতেন। স্বজনরা জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ফার্মগেট এলাকায় যাতায়াত করতেন।

পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক। তার ছেলে আব্দুল্লাহর বয়স ৫ বছর এবং মেয়ে সুরাইয়া আক্তারের বয়স ৩ বছর। নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি চোকদার বলেন, ‘আবুল কালাম খুব পরিশ্রমী ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ ছিলেন। নিজের চেষ্টায় ঢাকায় ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিলেন। এমন আকস্মিক মৃত্যু আমাদের জন্য এক অসম্ভব বেদনার বিষয়। সরকারের অবহেলার কারণে আমার ভাই মারা গেল। এখন তার পরিবারে দায় দায়িত্ব কে নেবে?’

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেট্রোরেলের কাঠামোর ভারসাম্য রক্ষায় ব্যবহৃত ‘বিয়ারিং প্যাড’ নামের ধাতব অংশটি আলগা হয়ে নিচে পড়ে যায়। এদিকে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত হওয়া ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

রোববার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। সড়ক উপদেষ্টা বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সব দায়-দায়িত্ব মেট্রোরেল গ্রহণ করবে। প্রাথমিকভাবে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এরপর যদি পরিবারের মধ্যে কর্মক্ষম কোনো সদস্য থাকে, তাকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আহতদের জন্য তিনি পরে হাসপাতালে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।