খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ আরও তিন পুলিশ সদস্য এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে নিহতদের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দিন ধরে অবরোধ, মিছিল, সমাবেশ ও সহিংসতার কারণে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কয়েকটি দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
অস্থির পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনা, পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর মধ্যে বিজিবির সাত প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
সহিংসতার কারণে সাজেক ভ্রমণে যাওয়া প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। পরে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তারা শহরে ফিরে রাতেই নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হন। তবে এখনো খাগড়াছড়ির বিভিন্ন হোটেলে বিপুলসংখ্যক পর্যটক দুর্ভোগে রয়েছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















