জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, গণভোট সনদ ও সংস্কার ইস্যুতে, আর নির্বাচন হবে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রশ্নে— দুটির বৈশিষ্ট্য আলাদা। কোনো কারণে জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে না হলেও জুলাই সনদ অবশ্যই পাস করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ইলেকটোরাল সাপোর্ট শাখার উপদেষ্টা এবং প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ণ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরে ডা. তাহের বলেন, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গণভোটের সঙ্গে জড়িত। তাই মানুষকে আগে জানানো প্রয়োজন। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে ভোটার বিভ্রান্ত হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, ভোটের নিরাপত্তায় প্রতিটি কেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনী— বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সব বাহিনী মোতায়নের দাবি জানিয়েছে জামায়াত। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথাও দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে।
পৃথক দিনে গণভোট হলে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে ডা. তাহের বলেন, “দলগুলোই ভোটার আনবে, ভোটারের সংকট হবে না।”
জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে জামায়াত বলেও জানান তিনি। বৈঠকে তারা দেশের নির্বাচনী পরিবেশ ও প্রস্তুতি বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন।
বৈঠকে জামায়াতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ; সঙ্গে ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় ও ম্যাডোনা লিঞ্চ।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















