ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চাঁদপুর-৩ আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার ব্যাপক গণসংযোগ, ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট চাইলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চার সেল ও গাঁজা-মদের আড্ডা বন্ধ হয়েছে, ডালের ঘনত্ব বেড়েছে ছত্তিশগড়ে রোমহর্ষক রহস্য — শেষকৃত্য করা যুবকই কুমারে ফিরে এসে বাড়িতে হাজির ইসলামী দলের নায়েবে আমিরের ‘নো হাংকি পাংকি’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এ্যানি: “এটা রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না” “আগামী বাংলাদেশের রিহার্সেল চলছে ছাত্র সংসদে”—ডা. শফিকুর রহমান “৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট” — মির্জা ফখরুল বিতর্কিত প্রার্থী বাছাইয়ে চাপে বিএনপি: তৃণমূলে ক্ষোভ ও আন্দোলন, একাধিক আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত কুমারখালীতে আগাম শীতকালীন সবজিতে কৃষকদের বাম্পার ফলন, লাখে লাখে আয়

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প নির্মাণে বাধা, সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইউপিডিএফ!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা জোরদারে বর্মাছড়ি এলাকায় একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন শুরু করে। তবে এ উদ্যোগকে ঘিরে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। ইউপিডিএফ–সমর্থিত একাংশের দাবি, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পটি নাকি একটি বিহারের জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বন বিভাগ বলছে, সংশ্লিষ্ট জায়গাটি রিজার্ভ ফরেস্টের আওতাধীন, যা সরকারি জমি।

বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, “আমাদের দেখা ও নথিপত্র অনুযায়ী জায়গাটি রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্যে পড়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক পরিমাপ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” অন্যদিকে সেনাবাহিনী পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, তারা কোনো বিহারের জমিতে ক্যাম্প স্থাপন করেনি, বরং সরকারি খাস জমিতেই অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে। উদ্দেশ্য একটাই—লক্ষীছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি বন বিভাগের রিজার্ভ ফরেস্টের জায়গা। ইউপিডিএফ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং সাধারণ পাহাড়িদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।” এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। তিনি বলেন, “ইউপিডিএফের কিছু মুখপাত্র ও তাদের গোষ্ঠীগত সমর্থকরা মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—বর্মাছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জায়গাটি রাষ্ট্রের খাস ফরেস্ট ভূমি।”

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উষাতন চাকমাও সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “সেনাবাহিনী সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। এখানে পাহাড়ি–বাঙালি মিলেমিশে বসবাস করছে, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এই বন্ধন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে।” স্থানীয় সূত্র বলছে, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য—পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে নিজেদের আধিপত্য বাড়ানো। সেনাবাহিনীর দৃঢ় অবস্থান ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর-৩ আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার ব্যাপক গণসংযোগ, ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট চাইলেন

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প নির্মাণে বাধা, সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইউপিডিএফ!

আপডেট সময় ১১:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা জোরদারে বর্মাছড়ি এলাকায় একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন শুরু করে। তবে এ উদ্যোগকে ঘিরে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। ইউপিডিএফ–সমর্থিত একাংশের দাবি, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পটি নাকি একটি বিহারের জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বন বিভাগ বলছে, সংশ্লিষ্ট জায়গাটি রিজার্ভ ফরেস্টের আওতাধীন, যা সরকারি জমি।

বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, “আমাদের দেখা ও নথিপত্র অনুযায়ী জায়গাটি রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্যে পড়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক পরিমাপ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” অন্যদিকে সেনাবাহিনী পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, তারা কোনো বিহারের জমিতে ক্যাম্প স্থাপন করেনি, বরং সরকারি খাস জমিতেই অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে। উদ্দেশ্য একটাই—লক্ষীছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি বন বিভাগের রিজার্ভ ফরেস্টের জায়গা। ইউপিডিএফ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং সাধারণ পাহাড়িদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।” এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। তিনি বলেন, “ইউপিডিএফের কিছু মুখপাত্র ও তাদের গোষ্ঠীগত সমর্থকরা মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—বর্মাছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জায়গাটি রাষ্ট্রের খাস ফরেস্ট ভূমি।”

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উষাতন চাকমাও সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “সেনাবাহিনী সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। এখানে পাহাড়ি–বাঙালি মিলেমিশে বসবাস করছে, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এই বন্ধন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে।” স্থানীয় সূত্র বলছে, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য—পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে নিজেদের আধিপত্য বাড়ানো। সেনাবাহিনীর দৃঢ় অবস্থান ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।