ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন ১৩ নভেম্বর কী হবে ঢাকায়, চিন্তায় কলকাতার আ.লীগ নেতারাও লকডাউন’ রুখে দেয়ার ঘোষণা পুলিশের, কী করবে আওয়া’মী লী’গ? গণভোট না হলে ২০২৯ সালের নির্বাচন ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথার মতো’

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও মির্জা ফখরুলকে ‘অভিভাবক’ মানতে চান জামায়াত প্রার্থী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:৩০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৩১ বার পড়া হয়েছে

এবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে দলটির মহাসচিব বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা ঘিরে যখন এলাকায় জোর আলোচনা ঠিক তখনই এক মানবিক বার্তায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দারুণ আলোড়ন তুলেছেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য দেলাওয়ার হোসেন।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে তার নিজস্ব ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে দলের মহাসচিব, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হওয়ায় তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।’ ‘২০০১ সালের নির্বাচনে জোট প্রার্থী হিসেবে আমরা ওনার পক্ষে কাজ করেছিলাম এবং তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। তখন আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এবার আমরা দুজনেই দুই দল থেকে এই আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।’

তিনি আরও লিখেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, প্রতিযোগী হয়ে নির্বাচনী ময়দানে কাজ করতে চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন। জনগণ আমাকে বিজয়ী করলে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নে আমার অভিভাবক হিসেবে ওনাকে রাখবো আর জনগণ ওনাকে বিজয়ী করলে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নে ওনাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন।’

রাজনৈতিক মহলে এমন বার্তা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকে বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে যেখানে পরস্পরবিরোধী দলগুলো মুখোমুখি অবস্থানে, সেখানে এমন সম্মানজনক বক্তব্য একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়। রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে, কিন্তু বিদ্বেষ নয়। নেটিজেনরা মন্তব্য করে লেখেন, ‘উন্নয়নমুখী এই মনোভাব রাজনীতিতে একটি নতুন সংস্কৃতির ইঙ্গিত দেয়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটাই হওয়া উচিত রাজনীতির আসল রূপ, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, মানুষ আগে।’

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নই এখন মূল লক্ষ্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন, এটি জেলার জন্য গর্বের বিষয়। আমরা চাই, ঠাকুরগাঁও রাজনীতিতে সম্মান, সহাবস্থান ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে উঠুক। প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, আমরা সবাই উন্নয়নের অংশীদার।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু শত্রুতা নয়। যারা জনগণের সেবা করতে চান, আমরা তাদের প্রতি সম্মান দেখাই। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ শান্তি, অগ্রগতি ও উন্নয়ন চায় আমরা সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।’

জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মো. কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজনীতি কখনো প্রতিহিংসার জায়গা হতে পারে না। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে চাই ঠাকুরগাঁওয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক কর্মে, উন্নয়নের ভাবনায়, এবং মানুষের আস্থায়। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন, আমরা সবাই মিলে তার পাশে থাকব। কারণ রাজনীতি মানে প্রতিশ্রুতি রক্ষা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।’

জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি ক্ষমতার নয়, মানুষের কল্যাণের। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার শুধু বিএনপির নয়, ঠাকুরগাঁওয়েরও গর্ব। তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক। তার নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁও আবারও উন্নয়নের নতুন অধ্যায়ে পৌঁছাবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এমন সৌজন্যমূলক অবস্থান রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে শিষ্টাচার ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের মাটিতে হিংসা নয়, উন্নয়ন আর ভ্রাতৃত্বের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা।’ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন, তা রাজনীতির ইতিহাসে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ উন্নয়ন, সততা আর ঐক্যের পক্ষে রায় দেবে, আমরা সে আশাতেই মাঠে নামছি। রাজনীতি যদি এমন মানবিক চেতনায় ভরে ওঠে, তাহলে দেশও এগিয়ে যাবে, সমাজও আলোকিত হবে।’ ঠাকুরগাঁও শহরের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমন রাজনীতি আগে দেখিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও একজন আরেকজনকে সম্মান দিচ্ছেন, এটা খুব ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। এখনকার রাজনীতিতে এমন মনোভাব দেখলে ভালো লাগে। আমরা চাই ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন হোক, কে করবে সেটা বড় কথা নয়।’

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও মির্জা ফখরুলকে ‘অভিভাবক’ মানতে চান জামায়াত প্রার্থী

আপডেট সময় ০২:৩০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

এবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে দলটির মহাসচিব বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা ঘিরে যখন এলাকায় জোর আলোচনা ঠিক তখনই এক মানবিক বার্তায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দারুণ আলোড়ন তুলেছেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য দেলাওয়ার হোসেন।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে তার নিজস্ব ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে দলের মহাসচিব, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হওয়ায় তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।’ ‘২০০১ সালের নির্বাচনে জোট প্রার্থী হিসেবে আমরা ওনার পক্ষে কাজ করেছিলাম এবং তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। তখন আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এবার আমরা দুজনেই দুই দল থেকে এই আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।’

তিনি আরও লিখেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, প্রতিযোগী হয়ে নির্বাচনী ময়দানে কাজ করতে চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন। জনগণ আমাকে বিজয়ী করলে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নে আমার অভিভাবক হিসেবে ওনাকে রাখবো আর জনগণ ওনাকে বিজয়ী করলে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নে ওনাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন।’

রাজনৈতিক মহলে এমন বার্তা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকে বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে যেখানে পরস্পরবিরোধী দলগুলো মুখোমুখি অবস্থানে, সেখানে এমন সম্মানজনক বক্তব্য একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়। রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে, কিন্তু বিদ্বেষ নয়। নেটিজেনরা মন্তব্য করে লেখেন, ‘উন্নয়নমুখী এই মনোভাব রাজনীতিতে একটি নতুন সংস্কৃতির ইঙ্গিত দেয়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটাই হওয়া উচিত রাজনীতির আসল রূপ, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, মানুষ আগে।’

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নই এখন মূল লক্ষ্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন, এটি জেলার জন্য গর্বের বিষয়। আমরা চাই, ঠাকুরগাঁও রাজনীতিতে সম্মান, সহাবস্থান ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে উঠুক। প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, আমরা সবাই উন্নয়নের অংশীদার।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু শত্রুতা নয়। যারা জনগণের সেবা করতে চান, আমরা তাদের প্রতি সম্মান দেখাই। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ শান্তি, অগ্রগতি ও উন্নয়ন চায় আমরা সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।’

জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মো. কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজনীতি কখনো প্রতিহিংসার জায়গা হতে পারে না। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে চাই ঠাকুরগাঁওয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক কর্মে, উন্নয়নের ভাবনায়, এবং মানুষের আস্থায়। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন, আমরা সবাই মিলে তার পাশে থাকব। কারণ রাজনীতি মানে প্রতিশ্রুতি রক্ষা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।’

জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি ক্ষমতার নয়, মানুষের কল্যাণের। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার শুধু বিএনপির নয়, ঠাকুরগাঁওয়েরও গর্ব। তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক। তার নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁও আবারও উন্নয়নের নতুন অধ্যায়ে পৌঁছাবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এমন সৌজন্যমূলক অবস্থান রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে শিষ্টাচার ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের মাটিতে হিংসা নয়, উন্নয়ন আর ভ্রাতৃত্বের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা।’ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন, তা রাজনীতির ইতিহাসে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ উন্নয়ন, সততা আর ঐক্যের পক্ষে রায় দেবে, আমরা সে আশাতেই মাঠে নামছি। রাজনীতি যদি এমন মানবিক চেতনায় ভরে ওঠে, তাহলে দেশও এগিয়ে যাবে, সমাজও আলোকিত হবে।’ ঠাকুরগাঁও শহরের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমন রাজনীতি আগে দেখিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও একজন আরেকজনকে সম্মান দিচ্ছেন, এটা খুব ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। এখনকার রাজনীতিতে এমন মনোভাব দেখলে ভালো লাগে। আমরা চাই ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন হোক, কে করবে সেটা বড় কথা নয়।’