ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা নাটোরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি-জাতীয় পার্টির ৫০ নেতাকর্মী বরিশালে জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মেহেরপুরে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বিএনপির পাঁচ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার ‘ফজু পাগলা’ উপাধিতে গর্বিত বিএনপি প্রার্থী ফজলুর রহমান: বলেন, আমার জন্য সারা দেশের মানুষ পাগল গৌরীপুরে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার জিয়া পরিবারের আদর্শ ধরে রাখতে জীবন দিতেও পিছু হটবো না: এস এম জাহাঙ্গীর শাপলাকলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে এনসিপি: জনগণের রাজনীতি গড়ে তুলতে আহ্বান নাহিদ ইসলামের গৌরীপুরে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ৪০

এনসিপিকে ১০টি আসন ছাড়তে রাজি বিএনপি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:০১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ১২৬৩ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামে দীর্ঘদিনের মিত্রদের নাম অনুপস্থিত থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, বাকি ৬৩ আসন জোট ও শরিকদের জন্য খালি রাখা হয়েছে। এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে এনসিপি যোগ দিলে তাদের জন্য ১০টি আসন ছাড়তে পারে দলটি।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, ৬৩ আসনের সবকটি জোটের জন্য নয়; বরং কিছু আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় সেগুলো অমীমাংসিত রয়েছে। তবে শরিকদের আসন ছাড়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নেতারা। এদিকে, নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা এবার ধানের শীষ প্রতীক পাবেন না, নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে চার-পাঁচজন নেতা ছাড়া শরিকদের বেশিরভাগেরই দলগত ও নিজস্ব কোনো ভোটব্যাংক না থাকায় তাদের জয়ের সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। ফলে অমীমাংসিত আসনগুলোয় বিএনপির অন্য কারো কপাল খুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে ৫০টির বেশি দল একসঙ্গে যুক্ত ছিল। এসব দলের প্রার্থীদের এলাকায় অবস্থান ও জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই শেষে তাদের জন্য ২৫ থেকে ৩০টি আসন ছাড়া হতে পারে। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে জোট হলে তাদের জন্য আরো প্রায় ১০টি আসন ছাড়া হতে পারে।

৬৩টি আসন খালি রাখার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় ৬৩টি আসন খালি রাখা হয়েছে। সেখানে সব আসন যে জোটের জন্য রাখা হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। এখানে কিছু আসনে আমাদের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এমন অমীমাংসিত আসনগুলো শিগগির চূড়ান্ত করা হবে।

মিত্রদের আসন ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। তাদের কে কোথায় নির্বাচন করবেন, তার আলোচনা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এনসিপির সঙ্গে জোট হলে প্রায় ১০টি আসন ছাড়তে পারে বিএনপি। এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, দক্ষিণের হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮, তাসনিম জারা ঢাকা-৯, সারোয়ার তুষার নরসিংদী-২, হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬, আদিবুল ইসলাম আদীব ঢাকা-১৪ থেকে নির্বাচন করতে পারেন।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা

এনসিপিকে ১০টি আসন ছাড়তে রাজি বিএনপি

আপডেট সময় ১২:০১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামে দীর্ঘদিনের মিত্রদের নাম অনুপস্থিত থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, বাকি ৬৩ আসন জোট ও শরিকদের জন্য খালি রাখা হয়েছে। এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে এনসিপি যোগ দিলে তাদের জন্য ১০টি আসন ছাড়তে পারে দলটি।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, ৬৩ আসনের সবকটি জোটের জন্য নয়; বরং কিছু আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় সেগুলো অমীমাংসিত রয়েছে। তবে শরিকদের আসন ছাড়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নেতারা। এদিকে, নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা এবার ধানের শীষ প্রতীক পাবেন না, নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে চার-পাঁচজন নেতা ছাড়া শরিকদের বেশিরভাগেরই দলগত ও নিজস্ব কোনো ভোটব্যাংক না থাকায় তাদের জয়ের সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। ফলে অমীমাংসিত আসনগুলোয় বিএনপির অন্য কারো কপাল খুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে ৫০টির বেশি দল একসঙ্গে যুক্ত ছিল। এসব দলের প্রার্থীদের এলাকায় অবস্থান ও জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই শেষে তাদের জন্য ২৫ থেকে ৩০টি আসন ছাড়া হতে পারে। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে জোট হলে তাদের জন্য আরো প্রায় ১০টি আসন ছাড়া হতে পারে।

৬৩টি আসন খালি রাখার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় ৬৩টি আসন খালি রাখা হয়েছে। সেখানে সব আসন যে জোটের জন্য রাখা হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। এখানে কিছু আসনে আমাদের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এমন অমীমাংসিত আসনগুলো শিগগির চূড়ান্ত করা হবে।

মিত্রদের আসন ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। তাদের কে কোথায় নির্বাচন করবেন, তার আলোচনা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এনসিপির সঙ্গে জোট হলে প্রায় ১০টি আসন ছাড়তে পারে বিএনপি। এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, দক্ষিণের হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮, তাসনিম জারা ঢাকা-৯, সারোয়ার তুষার নরসিংদী-২, হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬, আদিবুল ইসলাম আদীব ঢাকা-১৪ থেকে নির্বাচন করতে পারেন।