ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চাঁদপুর-৩ আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার ব্যাপক গণসংযোগ, ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট চাইলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চার সেল ও গাঁজা-মদের আড্ডা বন্ধ হয়েছে, ডালের ঘনত্ব বেড়েছে ছত্তিশগড়ে রোমহর্ষক রহস্য — শেষকৃত্য করা যুবকই কুমারে ফিরে এসে বাড়িতে হাজির ইসলামী দলের নায়েবে আমিরের ‘নো হাংকি পাংকি’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এ্যানি: “এটা রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না” “আগামী বাংলাদেশের রিহার্সেল চলছে ছাত্র সংসদে”—ডা. শফিকুর রহমান “৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট” — মির্জা ফখরুল বিতর্কিত প্রার্থী বাছাইয়ে চাপে বিএনপি: তৃণমূলে ক্ষোভ ও আন্দোলন, একাধিক আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত কুমারখালীতে আগাম শীতকালীন সবজিতে কৃষকদের বাম্পার ফলন, লাখে লাখে আয়

রোহিঙ্গা যুবক এনআইডি বানিয়ে ‘বাংলাদেশি’, কাজ করছেন সরকারি অধিদপ্তরে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৪:০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

এবার কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের কোনপাড়া বাসিন্দা আলী আহমদকে বাবা ও নুর নাহারকে মা সাজিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল আজিজ। তিনি ২০১৭ সালে এই এনআইডি নেন। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল আজিজ বাংলাদেশি এনআইডি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং কর্মী হিসেবে চাকরিও করছেন। রয়েছে সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগও।

জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আব্দুল আজিজ বর্তমানে সেন্টমার্টিন বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কর্মী। পাশাপাশি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মেরিন পার্কের আউটসোর্সিং কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজিজকে এনআইডি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রউফ। তবে এনআইডি করতে সহযোগিতা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘কীভাবে আজিজ এনআইডি করেছে, তা আমি জানি না। আমি কোনো সহযোগিতা করিনি। হয়তো টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে এনআইডি করেছে।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল আজিজ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক মো. আব্দুলের ছেলে। ১৯৯২ সালে স্ত্রীকে নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন আব্দুল। ২০০০ সালে তিনি মারা যান। তখন ছেলে আজিজের বয়স ৬ বছর। ২০০১ সালের দিকে আব্দুলের স্ত্রীকে বিয়ে করেন সেন্টমার্টিনের কোনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলী আহমদ। ২০১৭ সালে আলী আহমদকে বাবা এবং তার স্ত্রী নুর নাহারকে মা দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করেন। ওই বছরই এনআইডি করেন আজিজ।

এনআইডিতে জন্মসাল উল্লেখ করেছেন ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি; অর্থাৎ যে বছর তার বাবা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। প্রকৃতপক্ষে সেটি তার বয়স নয় এবং আলী আহমদ বাবা নন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলী আহমদ বলেন, ‘আজিজের বাবা আব্দুল মারা যাওয়ার এক বছর পর ২০০১ সালে তার মা নুর নাহারকে আমি বিয়ে করি। তখন আজিজের বয়স সাত বছর হবে। আজিজ আমার ছেলে নয়, মূলত মিয়ানমারের নাগরিক আব্দুলের ছেলে। দালাল চক্রের সঙ্গে মিলে আমাকে বাবা বানিয়ে এনআইডি করেছে বলে শুনেছি। তবে কারা কীভাবে করে দিয়েছে, সেটি আমি জানি না।’

সেন্টমার্টিনের কোনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসেম বলেন, ‘আজিজ রোহিঙ্গা নাগরিক। কিন্তু সে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় এনআইডি বানিয়ে এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।’

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর-৩ আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার ব্যাপক গণসংযোগ, ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট চাইলেন

রোহিঙ্গা যুবক এনআইডি বানিয়ে ‘বাংলাদেশি’, কাজ করছেন সরকারি অধিদপ্তরে

আপডেট সময় ০৪:০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

এবার কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের কোনপাড়া বাসিন্দা আলী আহমদকে বাবা ও নুর নাহারকে মা সাজিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল আজিজ। তিনি ২০১৭ সালে এই এনআইডি নেন। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল আজিজ বাংলাদেশি এনআইডি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং কর্মী হিসেবে চাকরিও করছেন। রয়েছে সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগও।

জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আব্দুল আজিজ বর্তমানে সেন্টমার্টিন বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কর্মী। পাশাপাশি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মেরিন পার্কের আউটসোর্সিং কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজিজকে এনআইডি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রউফ। তবে এনআইডি করতে সহযোগিতা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘কীভাবে আজিজ এনআইডি করেছে, তা আমি জানি না। আমি কোনো সহযোগিতা করিনি। হয়তো টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে এনআইডি করেছে।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল আজিজ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক মো. আব্দুলের ছেলে। ১৯৯২ সালে স্ত্রীকে নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন আব্দুল। ২০০০ সালে তিনি মারা যান। তখন ছেলে আজিজের বয়স ৬ বছর। ২০০১ সালের দিকে আব্দুলের স্ত্রীকে বিয়ে করেন সেন্টমার্টিনের কোনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলী আহমদ। ২০১৭ সালে আলী আহমদকে বাবা এবং তার স্ত্রী নুর নাহারকে মা দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করেন। ওই বছরই এনআইডি করেন আজিজ।

এনআইডিতে জন্মসাল উল্লেখ করেছেন ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি; অর্থাৎ যে বছর তার বাবা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। প্রকৃতপক্ষে সেটি তার বয়স নয় এবং আলী আহমদ বাবা নন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলী আহমদ বলেন, ‘আজিজের বাবা আব্দুল মারা যাওয়ার এক বছর পর ২০০১ সালে তার মা নুর নাহারকে আমি বিয়ে করি। তখন আজিজের বয়স সাত বছর হবে। আজিজ আমার ছেলে নয়, মূলত মিয়ানমারের নাগরিক আব্দুলের ছেলে। দালাল চক্রের সঙ্গে মিলে আমাকে বাবা বানিয়ে এনআইডি করেছে বলে শুনেছি। তবে কারা কীভাবে করে দিয়েছে, সেটি আমি জানি না।’

সেন্টমার্টিনের কোনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসেম বলেন, ‘আজিজ রোহিঙ্গা নাগরিক। কিন্তু সে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় এনআইডি বানিয়ে এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।’