ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক ক্লাসে ঢুকে ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীকে মেরে মাথা ফাটালেন শিক্ষক বোরকা ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নেই আফগান নারীদের ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন

ট্রাম্পের শান্তি চুক্তি মানলেও অস্ত্র জমা দেবে না হামাস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৫:১৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৬৯ বার পড়া হয়েছে

এবার অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ইসরায়েল ও হামাসের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হলেও তা মেনে নেবে না ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্ন ‘অসম্ভব এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা। শনিবার (১১ অক্টোবর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা জানান, ‘প্রস্তাবিত অস্ত্র হস্তান্তর কোনোভাবেই সম্ভব নয় এবং এটি আলোচনাযোগ্যও নয়।’

হামাসের অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে আলোচিত হবে বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অস্ত্র জমার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়, যারা অস্ত্র ত্যাগ করবে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে এবং অভিবাসন নীতির আওতায় ইচ্ছা করলে তারা গাজা ত্যাগের অনুমতি পাবে। এক্ষেত্রে হামাসের অস্ত্র সমর্পণ ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এই দুটি বিষয়কে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে ছাড়া না দেওয়ার বিবৃতি এমন সময় দিয়েছে হামাস যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। এরই মধ্যে শান্তি প্রস্তাবের প্রথম ধাপ কর্যকরের পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ফলে গাজায় আটক থাকা অন্তত ২০ জীবিত ইসরায়েলি বন্দি এবং ২৮ জনের মরদেহ ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হবে। এর বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল, যাদের মধ্যে ২৫০ জন ইসরায়েলি আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইউনিসেফের তথ্য মতে, এ যুদ্ধে ২০ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি শিশু; যাদের মধ্যে অন্তত ২১ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক

ট্রাম্পের শান্তি চুক্তি মানলেও অস্ত্র জমা দেবে না হামাস

আপডেট সময় ০৫:১৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

এবার অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ইসরায়েল ও হামাসের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হলেও তা মেনে নেবে না ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্ন ‘অসম্ভব এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা। শনিবার (১১ অক্টোবর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা জানান, ‘প্রস্তাবিত অস্ত্র হস্তান্তর কোনোভাবেই সম্ভব নয় এবং এটি আলোচনাযোগ্যও নয়।’

হামাসের অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে আলোচিত হবে বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অস্ত্র জমার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়, যারা অস্ত্র ত্যাগ করবে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে এবং অভিবাসন নীতির আওতায় ইচ্ছা করলে তারা গাজা ত্যাগের অনুমতি পাবে। এক্ষেত্রে হামাসের অস্ত্র সমর্পণ ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এই দুটি বিষয়কে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে ছাড়া না দেওয়ার বিবৃতি এমন সময় দিয়েছে হামাস যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। এরই মধ্যে শান্তি প্রস্তাবের প্রথম ধাপ কর্যকরের পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ফলে গাজায় আটক থাকা অন্তত ২০ জীবিত ইসরায়েলি বন্দি এবং ২৮ জনের মরদেহ ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হবে। এর বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল, যাদের মধ্যে ২৫০ জন ইসরায়েলি আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইউনিসেফের তথ্য মতে, এ যুদ্ধে ২০ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি শিশু; যাদের মধ্যে অন্তত ২১ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।