ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চাঁদপুর-৩ আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার ব্যাপক গণসংযোগ, ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট চাইলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চার সেল ও গাঁজা-মদের আড্ডা বন্ধ হয়েছে, ডালের ঘনত্ব বেড়েছে ছত্তিশগড়ে রোমহর্ষক রহস্য — শেষকৃত্য করা যুবকই কুমারে ফিরে এসে বাড়িতে হাজির ইসলামী দলের নায়েবে আমিরের ‘নো হাংকি পাংকি’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এ্যানি: “এটা রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না” “আগামী বাংলাদেশের রিহার্সেল চলছে ছাত্র সংসদে”—ডা. শফিকুর রহমান “৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট” — মির্জা ফখরুল বিতর্কিত প্রার্থী বাছাইয়ে চাপে বিএনপি: তৃণমূলে ক্ষোভ ও আন্দোলন, একাধিক আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত কুমারখালীতে আগাম শীতকালীন সবজিতে কৃষকদের বাম্পার ফলন, লাখে লাখে আয়

ইসরায়েলকে সহায়তা করায় গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৫:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৬৯ বার পড়া হয়েছে

এবার যুদ্ধের সময় দখলদার ইসরায়েলকে সহায়তা করায় গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সংবাদমাধ্যম সাফাক মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জানিয়েছে, একটি ফায়ারিং স্কোয়াডে এই ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বার্তাসংস্থা ইয়েনেত জানিয়েছে, হামাস এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, হামাসকে অস্থায়ী সময়ের জন্য গাজার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপরই একসঙ্গে আটজনকে গুলি করে দণ্ড কার্যকরের খবর শোনা গেলো। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখ ঢাকা হামাসের যোদ্ধারা আটজনকে নিয়ে এসেছে। যাদের হাত বাঁধা এবং চোখে কাপড় লাগানো। হামাস জানিয়েছে, এই ব্যক্তিরা গত দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছে।

এছাড়া দোঘমুস গোষ্ঠীর সঙ্গেও ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়েছে হামাসের যোদ্ধারা। এই গোষ্ঠী গাজার অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র দল। ইসরায়েলি বার্তাসংস্থা ইয়েনেত জানিয়েছে, দোঘমুস গোষ্ঠীর ৫২ সদস্যকে হত্যা করেছে হামাসের যোদ্ধারা। অপরদিকে একই সময় হামাসের ১২ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যারমধ্যে হামাসের সিনিয়র নেতা বাসিম নাঈমের ছেলেও আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধারা অ্যাম্বুলেন্সে করে দোঘমুস গোষ্ঠীর এলাকায় প্রবেশ করে। এরপর সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়।

দোঘমুস গোষ্ঠীর কাছে ভারী অস্ত্রসস্ত্র আছে। তারা এরআগেও হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এছাড়া ইসরায়েলের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছে তারা। ইসরায়েল স্বীকার করেছে হামাসের বিরোধী কিছু গোষ্ঠীকে তারা সীমিত অস্ত্র দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক রুশদী আবুলউফ গাজা থেকে জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি একইসঙ্গে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু এখন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সেখানকার মানুষকে আবার উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। হামাস বলছে তারা ‘নিরাপত্তা পুনর্বহাল’ এবং ‘বিচারহীনতা’ দূর করছে। কিন্তু অনেকের আশঙ্কা তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিদের সঙ্গে ‘দেনা-পাওনা’ মেটাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর-৩ আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার ব্যাপক গণসংযোগ, ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট চাইলেন

ইসরায়েলকে সহায়তা করায় গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

আপডেট সময় ০৫:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

এবার যুদ্ধের সময় দখলদার ইসরায়েলকে সহায়তা করায় গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সংবাদমাধ্যম সাফাক মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জানিয়েছে, একটি ফায়ারিং স্কোয়াডে এই ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বার্তাসংস্থা ইয়েনেত জানিয়েছে, হামাস এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, হামাসকে অস্থায়ী সময়ের জন্য গাজার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপরই একসঙ্গে আটজনকে গুলি করে দণ্ড কার্যকরের খবর শোনা গেলো। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখ ঢাকা হামাসের যোদ্ধারা আটজনকে নিয়ে এসেছে। যাদের হাত বাঁধা এবং চোখে কাপড় লাগানো। হামাস জানিয়েছে, এই ব্যক্তিরা গত দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছে।

এছাড়া দোঘমুস গোষ্ঠীর সঙ্গেও ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়েছে হামাসের যোদ্ধারা। এই গোষ্ঠী গাজার অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র দল। ইসরায়েলি বার্তাসংস্থা ইয়েনেত জানিয়েছে, দোঘমুস গোষ্ঠীর ৫২ সদস্যকে হত্যা করেছে হামাসের যোদ্ধারা। অপরদিকে একই সময় হামাসের ১২ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যারমধ্যে হামাসের সিনিয়র নেতা বাসিম নাঈমের ছেলেও আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধারা অ্যাম্বুলেন্সে করে দোঘমুস গোষ্ঠীর এলাকায় প্রবেশ করে। এরপর সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়।

দোঘমুস গোষ্ঠীর কাছে ভারী অস্ত্রসস্ত্র আছে। তারা এরআগেও হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এছাড়া ইসরায়েলের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছে তারা। ইসরায়েল স্বীকার করেছে হামাসের বিরোধী কিছু গোষ্ঠীকে তারা সীমিত অস্ত্র দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক রুশদী আবুলউফ গাজা থেকে জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি একইসঙ্গে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু এখন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সেখানকার মানুষকে আবার উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। হামাস বলছে তারা ‘নিরাপত্তা পুনর্বহাল’ এবং ‘বিচারহীনতা’ দূর করছে। কিন্তু অনেকের আশঙ্কা তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিদের সঙ্গে ‘দেনা-পাওনা’ মেটাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি