ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর ইসরায়েলি হাসপাতালে ইরানের ক্লাস্টার বোমা! নেতানিয়াহুর হুংকার, ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ ইসরায়েলে ইরানের ভয়াবহ হামলা, তেল আবিব ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন বৃষ্টি চেক ডিজঅনার মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইরানের হামলায় আতঙ্ক, দেশ ছাড়তে সিনাইয়ে ইসরায়েলিদের ভিড় ছয় দিনের যুদ্ধ বনাম সাত দিনের প্রতিরোধ: ‘এইবার নয়’—ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইরান? ‘কেউই রেহাই পাবে না’: খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর ‘ইরান এখনো তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেরই করেনি’: তাসনিম নিউজ তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন: দুদু ইসরাইলি আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ছারছীনা পীরের আহ্বান

গাজায় নারীর ছদ্মবেশে ব্যর্থ অভিযানে ধরা পড়ল ইসরায়েলি গোপন ইউনিট

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৭১৬ বার পড়া হয়েছে

গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরের আলমাত্তা পাড়ায় এক ব্যতিক্রমধর্মী অভিযানে নারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রবেশ করেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গোপন স্কোয়াড। ধরা পড়ে যাওয়ার পর পালাতে গিয়ে তারা রেখে গেছে ছদ্মবেশ, কাপড়চোপড় এবং ব্যাগপত্র।

সোমবার (১৯ মে) সকালে একটি সাদা মিনিবাসে করে গাজার দক্ষিণের আলমাত্তা এলাকায় প্রবেশ করে তারা। বাসটিতে কয়েকজন নারীসদৃশ ব্যক্তি ছিলেন, যাদের কেউ মুখ ঢেকে রেখেছিল, কেউ বা খোলা রেখেছিল। স্থানীয়দের কাছে দৃশ্যটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারীদের আগমনের মতোই মনে হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত সারাহান পরিবারের বাড়িতে প্রবেশ করে।

বাড়িতে ঢোকার কিছু সময় পরই শুরু হয় গোলাগুলি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলার সহায়তা নেয়। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তৎপরতায় অভিযান ব্যর্থ হয় এবং ইসরায়েলি ইউনিটটি বাধ্য হয় পিছু হটতে।

ঘটনাস্থল থেকে ফেলে যাওয়া নারীদের পোশাক, ছদ্মবেশধারীদের ব্যাগ ও একটি খালি বাক্স উদ্ধার করা হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের মতে, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় নেতা সারাহানকে অপহরণ করে তার কাছ থেকে বন্দি ইসরায়েলিদের বিষয়ে তথ্য আদায় করা।

অভিযানে নিহত হন নাসির সালাউদ্দিন ব্রিগেডের কমান্ডার আহমেদ কামাল সারান, এবং তার স্ত্রী ও সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল গাজা ও আশপাশের এলাকায় বড় ধরনের হামলার হুমকি দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

যদিও চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল, কিন্তু তা বারবার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। সর্বশেষ ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও বিমান হামলা শুরু করেছে তারা।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিন, লেবানন ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে হামলার পর ইয়েমেন হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার এবং হাইফা বন্দরে অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুর ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিলেও, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

গাজায় নারীর ছদ্মবেশে ব্যর্থ অভিযানে ধরা পড়ল ইসরায়েলি গোপন ইউনিট

আপডেট সময় ১১:৪৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরের আলমাত্তা পাড়ায় এক ব্যতিক্রমধর্মী অভিযানে নারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রবেশ করেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গোপন স্কোয়াড। ধরা পড়ে যাওয়ার পর পালাতে গিয়ে তারা রেখে গেছে ছদ্মবেশ, কাপড়চোপড় এবং ব্যাগপত্র।

সোমবার (১৯ মে) সকালে একটি সাদা মিনিবাসে করে গাজার দক্ষিণের আলমাত্তা এলাকায় প্রবেশ করে তারা। বাসটিতে কয়েকজন নারীসদৃশ ব্যক্তি ছিলেন, যাদের কেউ মুখ ঢেকে রেখেছিল, কেউ বা খোলা রেখেছিল। স্থানীয়দের কাছে দৃশ্যটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারীদের আগমনের মতোই মনে হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত সারাহান পরিবারের বাড়িতে প্রবেশ করে।

বাড়িতে ঢোকার কিছু সময় পরই শুরু হয় গোলাগুলি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলার সহায়তা নেয়। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তৎপরতায় অভিযান ব্যর্থ হয় এবং ইসরায়েলি ইউনিটটি বাধ্য হয় পিছু হটতে।

ঘটনাস্থল থেকে ফেলে যাওয়া নারীদের পোশাক, ছদ্মবেশধারীদের ব্যাগ ও একটি খালি বাক্স উদ্ধার করা হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের মতে, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় নেতা সারাহানকে অপহরণ করে তার কাছ থেকে বন্দি ইসরায়েলিদের বিষয়ে তথ্য আদায় করা।

অভিযানে নিহত হন নাসির সালাউদ্দিন ব্রিগেডের কমান্ডার আহমেদ কামাল সারান, এবং তার স্ত্রী ও সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল গাজা ও আশপাশের এলাকায় বড় ধরনের হামলার হুমকি দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

যদিও চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল, কিন্তু তা বারবার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। সর্বশেষ ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও বিমান হামলা শুরু করেছে তারা।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিন, লেবানন ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে হামলার পর ইয়েমেন হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার এবং হাইফা বন্দরে অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুর ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিলেও, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।