ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে নেতানিয়াহু, নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেলরা ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল ভাড়া গাড়ীতে প্রেসের স্টিকার,  সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, করা হলো জরিমানা তারেক রহমান বললেন, খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবেন বিএনপির সহযোগিতা এখন অভিশাপ: গলাচিপায় অবরুদ্ধের পর ক্ষোভে ফুঁসলেন ভিপি নুর” ইরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও বিজ্ঞানীদের নিহতের ঘটনায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ “বাংলার আকাশে মেঘ জমলে জিয়া পরিবার বৃষ্টি হয়ে আসে”—ছাত্রদল সম্পাদক নাছির উদ্দীনের মন্তব্য “কেয়ামত পর্যন্তও গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ নয়” — জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আহমেদাবাদের যানজটই বাঁচাল জীবন—ভূমি চৌহান

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:২০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

এবার ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় নতুন করে শুরু করা সামরিক আক্রমণ ও ত্রাণ বিধিনিষেধ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারা। এভাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর আরও চাপ তৈরি করেছেন তারা।শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় নতুন অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল পুরো গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই গাজায় দুর্ভিক্ষ এগিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছেন।

সোমবার ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশ করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বেসামরিক জনগণকে অপরিহার্য মানবিক সহায়তা প্রদানে ইসরায়েল সরকারের অস্বীকৃতি অগ্রহণযোগ্য আর এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ করার যে কোনো উদ্যোগের বিরোধিতা করি। আমরা সুর্নিদিষ্ট নিষেধাজ্ঞাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।”

এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেছেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হওয়া গণহত্যা আক্রমণকে বিশাল পুরস্কার প্রস্তাব করছে আর এ ধরনের আরও নৃশংসতাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।” পুরোপুরি বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল ন্যায্য উপায়ে তার নিজেকে রক্ষা করবে বলে দাবি করেছেন তিনি। যুদ্ধ শেষ করার জন্য তিনি অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজা ভূখণ্ডকে অসামরিকীকরণের দাবি ফের উল্লেখ করেছেন; জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্চের শুরু থেকেই ইসরায়েল গাজায় ওষুধ, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ আটকে রেখেছে। এভাবে তারা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর তাদের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। হামাসের যোদ্ধারা এসব জিম্মিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার সময় ধরে নিয়ে যায়।

যৌথ বিবৃতিতে পশ্চিমা তিন নেতা কিয়ের স্টারমার, এমানুয়েল ম্যাঁক্রো ও মার্ক কার্নি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করার ইসরায়েলের অধিকারকে আমরা সবসময়ই সমর্থন করি। কিন্তু এই বৃদ্ধি পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।” গাজায় নেতানিয়াহু সরকার যে ‘মর্মান্তিক কর্মকাণ্ড’ অনুসরণ করছে তারা তার পক্ষে দাঁড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ওই নেতারা। গাজায় অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তারা।

তারা বলেছেন, এই সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীক সমাধানের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হামাস পশ্চিমা তিন নেতার এই যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে তাদের এই অবস্থানকে আন্তর্জাতিক আইন পুনরুদ্ধার করার দিকে সঠিক নির্দেশনার ক্ষেত্রে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছে।

২০২৩ এর ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ভূখণ্ডটির প্রায় সব বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নিরপরাধ বেসামরিক, জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের ভাষ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর তাদের দেশে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং ২৫১ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখা হয়।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের

আপডেট সময় ১২:২০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

এবার ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় নতুন করে শুরু করা সামরিক আক্রমণ ও ত্রাণ বিধিনিষেধ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারা। এভাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর আরও চাপ তৈরি করেছেন তারা।শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় নতুন অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল পুরো গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই গাজায় দুর্ভিক্ষ এগিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছেন।

সোমবার ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশ করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বেসামরিক জনগণকে অপরিহার্য মানবিক সহায়তা প্রদানে ইসরায়েল সরকারের অস্বীকৃতি অগ্রহণযোগ্য আর এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ করার যে কোনো উদ্যোগের বিরোধিতা করি। আমরা সুর্নিদিষ্ট নিষেধাজ্ঞাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।”

এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেছেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হওয়া গণহত্যা আক্রমণকে বিশাল পুরস্কার প্রস্তাব করছে আর এ ধরনের আরও নৃশংসতাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।” পুরোপুরি বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল ন্যায্য উপায়ে তার নিজেকে রক্ষা করবে বলে দাবি করেছেন তিনি। যুদ্ধ শেষ করার জন্য তিনি অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজা ভূখণ্ডকে অসামরিকীকরণের দাবি ফের উল্লেখ করেছেন; জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্চের শুরু থেকেই ইসরায়েল গাজায় ওষুধ, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ আটকে রেখেছে। এভাবে তারা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর তাদের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। হামাসের যোদ্ধারা এসব জিম্মিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার সময় ধরে নিয়ে যায়।

যৌথ বিবৃতিতে পশ্চিমা তিন নেতা কিয়ের স্টারমার, এমানুয়েল ম্যাঁক্রো ও মার্ক কার্নি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করার ইসরায়েলের অধিকারকে আমরা সবসময়ই সমর্থন করি। কিন্তু এই বৃদ্ধি পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।” গাজায় নেতানিয়াহু সরকার যে ‘মর্মান্তিক কর্মকাণ্ড’ অনুসরণ করছে তারা তার পক্ষে দাঁড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ওই নেতারা। গাজায় অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তারা।

তারা বলেছেন, এই সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীক সমাধানের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হামাস পশ্চিমা তিন নেতার এই যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে তাদের এই অবস্থানকে আন্তর্জাতিক আইন পুনরুদ্ধার করার দিকে সঠিক নির্দেশনার ক্ষেত্রে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছে।

২০২৩ এর ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ভূখণ্ডটির প্রায় সব বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নিরপরাধ বেসামরিক, জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের ভাষ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর তাদের দেশে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং ২৫১ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখা হয়।