ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচিত মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. কনক সারওয়ার। তিনি দাবি করেন, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও সংবিধান লঙ্ঘন করে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত আগামী জাতীয় নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
এক আলোচনায় কনক সারওয়ার বলেন, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ গত মাসে ইশরাক হোসেনের জয় বৈধ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিলেও নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিআইডি) গড়িমসি করেছে। গেজেটের মেয়াদ শেষ হয়েছে—এই অজুহাতে ইশরাকের শপথ আটকে রাখা হয়েছে, যা তিনি ‘আইনের মারপ্যাঁচ’ বলেই অভিহিত করেন।
এক্ষেত্রে এলজিআইডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনক সারওয়ার। তার মতে, আদালতের রায় কার্যকর করার দায়িত্ব থাকলেও তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করেছেন, যা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (সমান অধিকার), ৩১ (ন্যায়বিচার) ও ৫৯ (স্থানীয় শাসন) স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে ইশরাকের ক্ষেত্রে। এছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনও ভঙ্গ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর শপথ গ্রহণের ঘটনাটি, যেখানে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ খানের হস্তক্ষেপে আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হয়েছিল।
ড. সারওয়ার সতর্ক করে বলেন, “যদি একটি সিটি মেয়র পদেই আদালতের রায় অমান্য করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কিভাবে ন্যায়বিচার আশা করব?” তার মতে, সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করতে ইশরাক ইস্যুকে ইচ্ছাকৃতভাবে জটিল করে তুলেছে। বিষয়টি আগামী নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়েও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।