মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় লক্ষ্মী রাজবংশী (৭০) নামে এক প্যারালাইজড বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগে তার বড় ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশীর দায়ের করা হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—নিহতের বড় ছেলে রঞ্জিত রাজবংশী, পুত্রবধূ পার্বতী রানী রাজবংশী এবং নাতি পিয়াস রাজবংশী।
মামলার বাদী ঝন্টু রাজবংশী বলেন,
“রোববার রাত একটার দিকে মায়ের ঘরে গিয়ে দেখি তিনি নেই। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। সকালে দেখি বাড়ির সামনের ডোবায় মায়ের লাশ ভাসছে। মা প্যারালাইজড ছিলেন, নিজের থেকে সেখানে যেতে পারেন না। আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা লিমন কাজী বলেন,
“লক্ষ্মী রাজবংশী পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইজড ছিলেন। তিনি হাঁটাচলা করতে পারতেন না। তাই ডোবায় পড়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক।”
নিহতের বড় মেয়ে কামনা রাজবংশী জানান,
“দুই বছর মা আমার সঙ্গে টাঙ্গাইলে ছিলেন। আমার তিন ভাইয়ের কেউ মায়ের খরচ দিত না। আট দিন আগে বড় ভাই রঞ্জিত মাকে নিয়ে যায়। এখন মা আর নেই। আমি এর বিচার চাই।”
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম জানান,
“হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
উল্লেখ্য, সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বটতলা এলাকার বাড়ির সামনের ডোবা থেকে বৃদ্ধা লক্ষ্মী রাজবংশীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























