ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

বোমা ফেলো না, পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো: ফোনে নেতানিয়াহুকে ট্রাম্পের অনুরোধ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ৬৭৯ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারিতে ইসরায়েলকে ইরানে বোমা হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!”

সংবাদমাধ্যম এএফপি, অ্যাক্সিওস ও আল জাজিরার খবরে জানানো হয়, ট্রাম্প এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা দেন যে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

তবে ট্রাম্পের সরাসরি অনুরোধের পরও নেতানিয়াহু জানিয়ে দেন, তিনি হামলা বাতিল করতে পারবেন না। কারণ, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং বর্তমান হামলাটি ‘অত্যাবশ্যক’।

অ্যাক্সিওসের তথ্য অনুযায়ী, নেতানিয়াহু আশ্বস্ত করেন যে, হামলাটি সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট টার্গেটেই আঘাত হানবে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর পাশাপাশি ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া পোস্টে আবারও কড়া বার্তা দেন। তিনি লেখেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!”

ট্রাম্পের এই আহ্বানের পেছনে যুক্তি ছিল, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা। তার ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং ইরানও ইঙ্গিত দিয়েছে, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে তারাও হামলা চালাবে না।

তবে একই সময়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। এদিকে তেহরান থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা নতুন কোনো হামলা চালায়নি।

এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে এবং পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

বোমা ফেলো না, পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো: ফোনে নেতানিয়াহুকে ট্রাম্পের অনুরোধ

আপডেট সময় ০৭:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারিতে ইসরায়েলকে ইরানে বোমা হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!”

সংবাদমাধ্যম এএফপি, অ্যাক্সিওস ও আল জাজিরার খবরে জানানো হয়, ট্রাম্প এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা দেন যে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

তবে ট্রাম্পের সরাসরি অনুরোধের পরও নেতানিয়াহু জানিয়ে দেন, তিনি হামলা বাতিল করতে পারবেন না। কারণ, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং বর্তমান হামলাটি ‘অত্যাবশ্যক’।

অ্যাক্সিওসের তথ্য অনুযায়ী, নেতানিয়াহু আশ্বস্ত করেন যে, হামলাটি সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট টার্গেটেই আঘাত হানবে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর পাশাপাশি ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া পোস্টে আবারও কড়া বার্তা দেন। তিনি লেখেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!”

ট্রাম্পের এই আহ্বানের পেছনে যুক্তি ছিল, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা। তার ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং ইরানও ইঙ্গিত দিয়েছে, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে তারাও হামলা চালাবে না।

তবে একই সময়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। এদিকে তেহরান থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা নতুন কোনো হামলা চালায়নি।

এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে এবং পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।