বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের অতীত ভূমিকা ও রাজনৈতিক সাহসিকতা নিয়ে একটি আবেগঘন ও বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টে তিনি ২০১৫ সালের রাজনৈতিক দমন-পীড়নের সময়কাল এবং সালাহউদ্দিনের মুখপাত্র হিসেবে অবদানের কথা স্মরণ করেন।
শফিকুল আলম লিখেছেন, “সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিরাপত্তা বাহিনী অপহরণ, নির্যাতন এবং সীমান্ত পার করে দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই তিনি গোপন স্থান থেকে বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। সেই সময় খালেদা জিয়াকে গুলশানের অফিসে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল, বিএনপির শীর্ষ নেতারা ছিলেন আত্মগোপনে বা আটক। এমন এক সময়ে সালাহউদ্দিনের বিবৃতিগুলো হয়ে ওঠে বিএনপির কণ্ঠস্বর।”
তিনি জানান, তিনি এবং ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির দক্ষিণ এশিয়া প্রধান ক্রিস অটন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে গোপনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাদা পোশাকে নিরাপত্তাকর্মীরা ভেবেছিলেন, তারা সবাই হাইকমিশনের প্রতিনিধি।
পোস্টে শফিকুল আলম স্মরণ করেন, “সেই সময় প্রতিদিন সালাহউদ্দিনের বিবৃতি পেতাম। তার বিবৃতিগুলো সুগঠিত, তীব্র ও সোজাসাপটা ছিল। রুহুল কবির রিজভীর লেখা আবেগী হলেও তুলনামূলক জটিল বাক্যে ভরা থাকত। কিন্তু সালাহউদ্দিনের বিবৃতিগুলো ছিল সাহসী, জ্বালাময়ী এবং সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া ভাষায় লেখা।”
তিনি আরও লিখেছেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানতে পেরেছিলাম, শেখ হাসিনা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন যে, সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড়ের নির্দেশ দেন। অবশেষে ২০১৫ সালের শুরুতে তিনি নিখোঁজ হন — তাকে অপহরণ ও গুম করা হয়।”
শফিকুল আলম সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করে লেখেন, “তার অবিরাম প্রতিবাদ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা এবং মিডিয়ার দৃষ্টি হয়তো কিছুটা হলেও সালাহউদ্দিনকে শিলং পাঠিয়ে দেওয়ার পেছনে ভূম