রাজশাহীর বিভিন্ন খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল সরবরাহ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। হত দরিদ্র ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় যেসব সুবিধাভোগী এসব চাল পান তা একেবারেই খাওয়ার অযোগ্য। দুর্গাপুর ও বাগমারায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ার পর উঠে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি চক্র নিম্নমানের চাল সরবরাহ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এ ঘটনায় একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নিম্নমানের চাল, জনপ্রতিনিধিদের দাবি ‘গরুও খাবে না’
সাইফুর রহমান রকি
নিয়ম অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে তা মিলে ছাঁটাই করে চাল সংগ্রহ করার কথা খাদ্য গুদামগুলোর। কিন্তু তা না করে নিম্নমানের চাল কিনে গুদামে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন খাদ্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। সম্প্রতি রাজশাহীর দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করতে গিয়ে খাবার অনুপযোগী চাল দেখতে পান জনপ্রতিনিধিরা।
এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলে সরেজমিনে ভবানীগঞ্জ ও দুর্গাপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে গিয়ে এর সত্যতা পান। সম্প্রতি চালের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এতটাই নিম্নমানের চাল যা গবাদি পশু ও খাবেনা বলে মন্তব্য করেন জনপ্রতিনিধিরা। রাজশাহী দুর্গাপুরের জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রুপালি খাতুন বলেন, ‘চাল ভালো নয়। কোনো বস্তারটিই খাওয়ার যোগ্য নয়। এমনকি গরুও খাবে না।’
রাজশাহী বাগমারার বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মিলন বলেন, ‘ফুড অফিস বা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা এই নিম্নমানের চাল কিনেছেন অতিরিক্ত মুনাফার জন্য। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখানে প্রায় ২৩ ধরনের চাল সংগ্রহ করেছি। নমুনা সংগ্রহ করেছি। সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। আমরা এটার মান স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি।’

ডেস্ক রিপোর্ট 

























