ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিচারকের বাসায় হা’ম’লা, ছু’রিকা’ঘাতে ছেলে নি’হত: হা’মলা’কারী বিএনপি নেতার ছেলে ধানের শীষের প্রার্থীকে রেখে নেতাকর্মীরাই খেয়ে ফেললেন সব খাবার পুণেতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ নিহত, ১৫ আহত; আগুনে পুড়ে গেছে ট্রাক রাজশাহীতে ধানের শীষ সমর্থক নারী নেতা ও তার বোনকে হামলার অভিযোগ, বিএনপির সংবাদ সম্মেলন আসন সমঝোতায় অচলাবস্থা: জমিয়তের ১২ আসন দাবি, বিএনপি রাজি মাত্র ৫টিতে দেবীদ্বার আসনে লড়বেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের আত্মিক বন্ধন অটুট: ফজলুর রহমান তোমাদের আপা আর আসবে না, আ.লীগকে লায়ন ফারুক জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদান: বিএনপির মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানালো জামায়াত এনসিপি এলে ৪০, না এলে ২৩ আসনে সমঝোতা করবে বিএনপি

গাজার শাসক ঠিক করবে ফিলিস্তিনের জনগণ, ট্রাম্পের ‘পিস বোর্ড’ প্রত্যাখ্যান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি গাজা উপত্যকায় কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ শাসনকাঠামো নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তীব্র হয়েছে। হামাস এবং তাদের সহযোগী ফিলিস্তিনি উপদলগুলো দৃঢ়ভাবে ট্রাম্পের ‘পিস বোর্ড’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, গাজার প্রশাসনিক ব্যবস্থা কেমন হবে, তা সম্পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন, হামাসের সঙ্গে একমত পোষণ করে ফিলিস্তিনিদের অবিচল থাকার প্রশংসা করেছে। তারা দাবি করেছে, এই দৃঢ়তাই গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ইসরায়েলি পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

বিবৃতিতে গোষ্ঠীগুলো দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, ‘আমরা যেকোনো ধরনের বিদেশি অভিভাবকত্ব প্রত্যাখ্যান করছি এবং জোর দিয়ে বলছি, গাজা উপত্যকা ও এর সংস্থাগুলোর প্রশাসনের প্রকৃতি আমাদের জনগণের দ্বারা সরাসরি নির্ধারিত হবে।’ এই বিবৃতি যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইসরায়েল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে একটি স্পষ্ট সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে আসা এই কঠোর বার্তার মধ্যেই উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় গাজার শাসনভার তত্ত্বাবধানের জন্য ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রাম্প নিজে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন, এতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও অন্তর্ভুক্ত। এই বোর্ডের অধীনে একদল টেকনোক্র্যাট নিয়ে গঠিত একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গাজা শাসন করবে।

হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই বর্তমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার একটি অংশ শুধু কার্যকর হলো। কিন্তু গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট পথরেখা এখনো তৈরি হয়নি। যুদ্ধবিরতির পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে উপদলগুলো একটি ‘তাৎক্ষণিক ব্যাপক ভিত্তিক জাতীয় বৈঠক’ আয়োজনের কাজ করছে বলে জানিয়েছে। এই বৈঠকের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি অবস্থানের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা, একটি সামগ্রিক জাতীয় কৌশল তৈরি করা এবং অংশীদারত্ব, বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে জাতীয় সংস্থাগুলোকে পুনর্গঠন করা।

তবে এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্যালেস্টাইন অথরিটির (পিএ) প্রভাবশালী উপদল মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ অংশ নেবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। ফাতাহর অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো জাতীয় ঐকমত্য অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাঁদের বাড়ি, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বিধ্বস্ত এলাকার দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উপকূলীয় এলাকা থেকে আংশিকভাবে সরে যাওয়ার পর এই প্রত্যাবর্তন শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দীদের কোনো প্রকার প্রকাশ্য উদ্‌যাপন বা প্রচারমাধ্যম ছাড়াই হস্তান্তর করতে হবে। চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিন গাজায় কমপক্ষে ৬০০টি মানবিক সহায়তা ট্রাক পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি পানি সরবরাহ স্টেশনগুলোর পুনঃস্থাপন এবং বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়ের জন্য শিবির স্থাপন করা হবে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর তারা গাজা সিটির রাস্তা থেকে ৬৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পৌঁছানো এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ টেনে বের করার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার কারণে এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবিলম্বে অঞ্চলটির জন্য একটি ব্যাপক পুনর্গঠন পরিকল্পনার ওপর জোর দেওয়া দরকার। চুক্তির প্রথম ধাপে ধ্বংসস্তূপ সরানোর সরঞ্জাম প্রবেশের কথা বলা হয়েছে, যা পুনর্গঠনের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। চুক্তিতে এটিও বলা হয়েছে যে, জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্য সহায়তা গোষ্ঠীগুলো মানবিক সহায়তা বিতরণ করবে। এর মাধ্যমে কার্যকরভাবে বিতর্কিত জিএইচএফ বা গডস হ্যান্ড ফাউন্ডেশনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হবে। উল্লেখ্য, জিএইচএফ হলো ইসরায়েল ও মার্কিন-সমর্থিত একটি গোষ্ঠী। সাম্প্রতিক সময়ে এটি গাজার মানুষের ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হয়ে উঠেছিল। গত কয়েক মাস শত শত ফিলিস্তিনি জিএইচএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় নির্বিচার গুলিতে নিহত হন। তবে জিএইচএফের নির্বাহী পরিচালক জন অ্যাকরি গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তাঁদের দল মাঠে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচারকের বাসায় হা’ম’লা, ছু’রিকা’ঘাতে ছেলে নি’হত: হা’মলা’কারী বিএনপি নেতার ছেলে

গাজার শাসক ঠিক করবে ফিলিস্তিনের জনগণ, ট্রাম্পের ‘পিস বোর্ড’ প্রত্যাখ্যান

আপডেট সময় ১২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি গাজা উপত্যকায় কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ শাসনকাঠামো নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তীব্র হয়েছে। হামাস এবং তাদের সহযোগী ফিলিস্তিনি উপদলগুলো দৃঢ়ভাবে ট্রাম্পের ‘পিস বোর্ড’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, গাজার প্রশাসনিক ব্যবস্থা কেমন হবে, তা সম্পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন, হামাসের সঙ্গে একমত পোষণ করে ফিলিস্তিনিদের অবিচল থাকার প্রশংসা করেছে। তারা দাবি করেছে, এই দৃঢ়তাই গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ইসরায়েলি পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

বিবৃতিতে গোষ্ঠীগুলো দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, ‘আমরা যেকোনো ধরনের বিদেশি অভিভাবকত্ব প্রত্যাখ্যান করছি এবং জোর দিয়ে বলছি, গাজা উপত্যকা ও এর সংস্থাগুলোর প্রশাসনের প্রকৃতি আমাদের জনগণের দ্বারা সরাসরি নির্ধারিত হবে।’ এই বিবৃতি যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইসরায়েল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে একটি স্পষ্ট সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে আসা এই কঠোর বার্তার মধ্যেই উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় গাজার শাসনভার তত্ত্বাবধানের জন্য ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রাম্প নিজে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন, এতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও অন্তর্ভুক্ত। এই বোর্ডের অধীনে একদল টেকনোক্র্যাট নিয়ে গঠিত একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গাজা শাসন করবে।

হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই বর্তমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার একটি অংশ শুধু কার্যকর হলো। কিন্তু গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট পথরেখা এখনো তৈরি হয়নি। যুদ্ধবিরতির পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে উপদলগুলো একটি ‘তাৎক্ষণিক ব্যাপক ভিত্তিক জাতীয় বৈঠক’ আয়োজনের কাজ করছে বলে জানিয়েছে। এই বৈঠকের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি অবস্থানের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা, একটি সামগ্রিক জাতীয় কৌশল তৈরি করা এবং অংশীদারত্ব, বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে জাতীয় সংস্থাগুলোকে পুনর্গঠন করা।

তবে এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্যালেস্টাইন অথরিটির (পিএ) প্রভাবশালী উপদল মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ অংশ নেবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। ফাতাহর অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো জাতীয় ঐকমত্য অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাঁদের বাড়ি, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বিধ্বস্ত এলাকার দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উপকূলীয় এলাকা থেকে আংশিকভাবে সরে যাওয়ার পর এই প্রত্যাবর্তন শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দীদের কোনো প্রকার প্রকাশ্য উদ্‌যাপন বা প্রচারমাধ্যম ছাড়াই হস্তান্তর করতে হবে। চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিন গাজায় কমপক্ষে ৬০০টি মানবিক সহায়তা ট্রাক পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি পানি সরবরাহ স্টেশনগুলোর পুনঃস্থাপন এবং বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়ের জন্য শিবির স্থাপন করা হবে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর তারা গাজা সিটির রাস্তা থেকে ৬৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পৌঁছানো এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ টেনে বের করার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার কারণে এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবিলম্বে অঞ্চলটির জন্য একটি ব্যাপক পুনর্গঠন পরিকল্পনার ওপর জোর দেওয়া দরকার। চুক্তির প্রথম ধাপে ধ্বংসস্তূপ সরানোর সরঞ্জাম প্রবেশের কথা বলা হয়েছে, যা পুনর্গঠনের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। চুক্তিতে এটিও বলা হয়েছে যে, জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্য সহায়তা গোষ্ঠীগুলো মানবিক সহায়তা বিতরণ করবে। এর মাধ্যমে কার্যকরভাবে বিতর্কিত জিএইচএফ বা গডস হ্যান্ড ফাউন্ডেশনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হবে। উল্লেখ্য, জিএইচএফ হলো ইসরায়েল ও মার্কিন-সমর্থিত একটি গোষ্ঠী। সাম্প্রতিক সময়ে এটি গাজার মানুষের ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হয়ে উঠেছিল। গত কয়েক মাস শত শত ফিলিস্তিনি জিএইচএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় নির্বিচার গুলিতে নিহত হন। তবে জিএইচএফের নির্বাহী পরিচালক জন অ্যাকরি গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তাঁদের দল মাঠে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।