মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের দুই ছাত্রী—সায়মা আক্তার ও লাবনী আক্তার। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় তারা দুজনই উত্তীর্ণ হয়েছেন। সায়মা পেয়েছেন জিপিএ ৩.৭৫ এবং লাবনী পেয়েছেন জিপিএ ৪.৫৪।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ৩ জুলাই সকালে মায়ের মরদেহ ঘরে রেখে তারা পরীক্ষায় অংশ নেন—যা ছিল গভীর শোকের মাঝেও এক অসাধারণ সাহসিকতার দৃষ্টান্ত।
সায়মা হাতিয়া গ্রামের রায়হান খানের মেয়ে ও হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। লাবনী কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে এবং সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী।
২ জুলাই রাতে সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) ও লাবনীর মা সফিরন বেগম (৪৫) পরপর মারা যান। পরদিন সকালেই দুজনেই পরীক্ষায় অংশ নেন।
দুই কলেজের অধ্যক্ষরা জানান, এই দুই শিক্ষার্থীর মানসিক দৃঢ়তা ও সাহস অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

ডেস্ক রিপোর্ট 
























