ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা নাটোরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি-জাতীয় পার্টির ৫০ নেতাকর্মী বরিশালে জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মেহেরপুরে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বিএনপির পাঁচ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার ‘ফজু পাগলা’ উপাধিতে গর্বিত বিএনপি প্রার্থী ফজলুর রহমান: বলেন, আমার জন্য সারা দেশের মানুষ পাগল গৌরীপুরে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার জিয়া পরিবারের আদর্শ ধরে রাখতে জীবন দিতেও পিছু হটবো না: এস এম জাহাঙ্গীর শাপলাকলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে এনসিপি: জনগণের রাজনীতি গড়ে তুলতে আহ্বান নাহিদ ইসলামের গৌরীপুরে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ৪০

মুক্তি পেয়েই ২৩ বছর অপেক্ষায় থাকা সেই নারীকে বিয়ে ফিলিস্তিনি আবু বকর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪০১ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকরের মাধ্যমে মুক্তি পান ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এদেরই সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একজন ফিলিস্তিনি হলেন আকরাম আবু বকর। তার বিরুদ্ধে তিনটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল দখলদার ইসরাইল। বহু বছর বন্দি থাকার পর সম্প্রতি তিনি মুক্তি পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মিশরের রাজধানী কায়রোতে পোঁছে বিয়েও করেছেন।

তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ ও বিস্ময়কর খবর হলো- নববধূ হলেন সেই নারী, যার প্রতি গভীর প্রেম ও ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবেই ২৩ বছর আগে তালাক দিয়েছিলেন আবু বকর। কিন্তু সেই তালাক একপ্রকার মানেননি ওই নারী। ২৩ বছর ধরে ধৈর্য ও বিশ্বাস নিয়ে আকরাম আবু বকরের মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়ার পর আকরাম আবু বকর কায়রোতে এক ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার সাবেক স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করেছেন। ২৩ বছর আগে তিনি নিজেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন, যাতে তাকে আজীবন একজন বন্দির সহধর্মিণী হিসেবে কষ্টে কাটাতে না হয়। কিন্তু ওই নারী তার স্বামীকে ভুলে যাননি; অবিচল ভালোবাসা নিয়ে জীবনের ২৩টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তার ফিরে আসার আশায়। অবশেষে আকরাম আবু বকর মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কায়রোতে গিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

ফিলিস্তিনের তুলকারামের বাসিন্দা আকরাম আবু বকর মুক্তি পাওয়ার পর দখলদার ইসরাইলি কারাগার থেকে মিশরে নির্বাসিত হন। ৫০ বছর বয়সে কায়রোতে তার বিশ্বস্ত স্ত্রীকে দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন আবারও তাকে বিয়ে করবেন। অনুপম পুনর্মিলনের এই ঘটনাটি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির দিনে একযোগে ঘটে, যা ফিলিস্তিনিদের আশা ও বিজয়ের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা

মুক্তি পেয়েই ২৩ বছর অপেক্ষায় থাকা সেই নারীকে বিয়ে ফিলিস্তিনি আবু বকর

আপডেট সময় ১০:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকরের মাধ্যমে মুক্তি পান ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এদেরই সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একজন ফিলিস্তিনি হলেন আকরাম আবু বকর। তার বিরুদ্ধে তিনটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল দখলদার ইসরাইল। বহু বছর বন্দি থাকার পর সম্প্রতি তিনি মুক্তি পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মিশরের রাজধানী কায়রোতে পোঁছে বিয়েও করেছেন।

তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ ও বিস্ময়কর খবর হলো- নববধূ হলেন সেই নারী, যার প্রতি গভীর প্রেম ও ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবেই ২৩ বছর আগে তালাক দিয়েছিলেন আবু বকর। কিন্তু সেই তালাক একপ্রকার মানেননি ওই নারী। ২৩ বছর ধরে ধৈর্য ও বিশ্বাস নিয়ে আকরাম আবু বকরের মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়ার পর আকরাম আবু বকর কায়রোতে এক ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার সাবেক স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করেছেন। ২৩ বছর আগে তিনি নিজেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন, যাতে তাকে আজীবন একজন বন্দির সহধর্মিণী হিসেবে কষ্টে কাটাতে না হয়। কিন্তু ওই নারী তার স্বামীকে ভুলে যাননি; অবিচল ভালোবাসা নিয়ে জীবনের ২৩টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তার ফিরে আসার আশায়। অবশেষে আকরাম আবু বকর মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কায়রোতে গিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

ফিলিস্তিনের তুলকারামের বাসিন্দা আকরাম আবু বকর মুক্তি পাওয়ার পর দখলদার ইসরাইলি কারাগার থেকে মিশরে নির্বাসিত হন। ৫০ বছর বয়সে কায়রোতে তার বিশ্বস্ত স্ত্রীকে দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন আবারও তাকে বিয়ে করবেন। অনুপম পুনর্মিলনের এই ঘটনাটি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির দিনে একযোগে ঘটে, যা ফিলিস্তিনিদের আশা ও বিজয়ের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।