ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নৌকার কান্ডারি ভারতে, হতাশ হবেন না — ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে: ফখরুল তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক আজ রাতে ত্বকের রঙ ভিন্ন হওয়ায় স্ত্রী ও নবজাতক কন্যাকে ত্যাগ, এখন অনাহারে দিন কাটাচ্ছে মা-মেয়ে বেতন কম, তাই কেউ প্রাইমারি শিক্ষকের কাছে মেয়ে দিতে চায় না’ — আন্দোলনে ক্ষোভ ঝরালেন শিক্ষকরা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি মামলা: শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা ইস্যুতে সমালোচকদের ওপর ক্ষোভ নৌ উপদেষ্টার: “কিছু করলেই বলেন, চলে গেল—আরে কী চলে গেল ভাই!” বরিশাল-১ আসনে চমক: জামায়াত প্রার্থীর ছেলে বিএনপির পক্ষে, এলাকায় তোলপাড় খালেদা জিয়ার সম্মান রাখুন, প্রার্থী প্রত্যাহার করুন: জামায়াতকে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আসামে বহুবিবাহ প্রতিরোধ বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন: বহুবিবাহে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রস্তাব ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমে যুবলীগ নেতা আটক

সাহস থাকলে বাংলার মাটিতে এসে ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হতেন শেখ হাসিনা: অ্যাটর্নি জেনারেল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৩:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

এবার সাহস থাকলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হতেন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো শাসক-শোষক বা ফ্যাসিস্টকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি প্রত্যাশা করেছিলাম তিনি ন্যায়বিচারের সামনে আসবেন। ক্ষমতায় থাকতে তিনি আরেকজন রাজনৈতিক নেতাকে বলেছিলেন সাহস থাকলে বাংলাদেশের মাটিতে এসে বিচারের মুখোমুখি হোক। আমার বিশ্বাস ছিল এ কথাটা মন থেকে বলেছিলেন। এটা বিশ্বাস করে বলেছিলেন। কিন্তু দেখলাম তিনি মন থেকে বলেননি। তার যদি সাহস থাকতো তাহলে বাংলাদেশের মাটিতে এসে এই বিচারের মুখোমুখি হতেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক খণ্ডনের শেষ দিন ছিল আজ। শুরুতেই পবিত্র কোরআনের সুরা নিসাসহ দুটি সুরার আয়াতের রেফারেন্স টেনে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, আজ আমি ন্যায়বিচার প্রত্যক্ষ ও সাক্ষী হতে এসেছি। এ মামলায় সব ধরনের দালিলিক-মৌখিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন প্রসিকিউশন পক্ষ। তবে আসামিরা কোনো নির্দেশ দেননি, বলেননি যুক্তি দেখিয়েছেন স্টেট ডিফেন্স। ভাগ্যিস বলেননি এ দেশে কোনো জুলাই রেভ্যুলেশন হয়নি, কেউ মারা যাননি কিংবা আহত হননি। অথচ বাংলাদেশে ১৪০০ মানুষ মারা গেলেন। এত বড় একটা জুলাই রেভ্যুলেশন হলো। হত্যাকাণ্ড হলো সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় স্টেট অ্যাপারেটাস (রাষ্ট্রযন্ত্র) ব্যবহার করে।

একপর্যায়ে তিনি বলেন, বিচার যত কঠিনই হোক যত বাধার প্রাচীর আসুক, সব বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা না সম্ভব হয় তাহলে আমরা জাতি হিসেবে আগামী দিন এগোতে পারবো না। আমি একটা বিচারের মানদণ্ড তুলে ধরতে চাই। ১৯৫১ সালে মাত্র এক মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করেছিলেন আমেরিকান আদালত। সেই বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন জুলিয়াস রোজেনবার্গ ও ইথেল রোজেনবার্গ। এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যারা দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে গুপ্তচর ভিত্তি করে যার কারণে কোরিয়াদ্বীপে লাখ লাখ নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। তাদের বিচার প্রক্রিয়ায় আমেরিকার সিভিল সোসাইটি থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব জেগে উঠেছিল। সব নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীরা এর বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। খালাস দিতে বলেছিলেন। এই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার অবস্থা গিয়েছিল। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুজন মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর অবশ্যই একটি বড় ঘটনা। আমরাও মনে করি নিশ্চয়ই এ আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করা, মৃত্যুদণ্ড হওয়া, কার্যকর হওয়া।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ন্যায় শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এই আসামিদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য-অগণিত মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে। পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে। ১০ বছরের আনাস মারা যাবে। পানি বিতরণ করা অবস্থায় মুগ্ধ মারা যাবে। বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবেন। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি বা এই দুজনের বিচার ব্যাহত হয় অথবা শাস্তি না হয় যেটা আইনে প্রেসক্রাইব করা আছে। তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসে একটি ভীরু কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সেই কারণেই আমরা মনে করি এই বিচারে আমরা যা প্রমাণ করেছি সেটা বিয়ন্ড অল রিজনেবল ডাউট (এ নিয়ে কোনো যুক্তিসংগত সন্দেহ নেই)।

আসামিদের প্রতি আকাঙ্ক্ষা রেখে আসাদুজ্জামান বলেন, আমি প্রত্যাশা করি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড নিশ্চিত করতে হলে এই আসামিরা বলবেন যেমন বলেছিলেন জুলিয়াস নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে। তিনি গোটা বিশ্বকে জানিয়েছিলেন স্বাধীনতা ও অন্য যেসব জিনিস জীবনকে সত্যিই সুন্দর-স্বার্থক করে তোলে তা পাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে খুব বেশি মূল্য দিতে হয়। তারা হয়তো এমন একটি উক্তি দিয়েই এই বিচারের রায় মেনে নেবেন। অন্য কোনো পথ বেছে নেবেন না। অন্য কোনো পথে তারা হাঁটবেন না। যেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসযোগ্য ভূমি গড়ে তোলা যায়। সবশেষ ট্রাইব্যুনালের কাছে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করেন দেশের এই সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।

এদিন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর এ মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নৌকার কান্ডারি ভারতে, হতাশ হবেন না — ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে: ফখরুল

সাহস থাকলে বাংলার মাটিতে এসে ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হতেন শেখ হাসিনা: অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট সময় ০৩:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

এবার সাহস থাকলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হতেন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো শাসক-শোষক বা ফ্যাসিস্টকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি প্রত্যাশা করেছিলাম তিনি ন্যায়বিচারের সামনে আসবেন। ক্ষমতায় থাকতে তিনি আরেকজন রাজনৈতিক নেতাকে বলেছিলেন সাহস থাকলে বাংলাদেশের মাটিতে এসে বিচারের মুখোমুখি হোক। আমার বিশ্বাস ছিল এ কথাটা মন থেকে বলেছিলেন। এটা বিশ্বাস করে বলেছিলেন। কিন্তু দেখলাম তিনি মন থেকে বলেননি। তার যদি সাহস থাকতো তাহলে বাংলাদেশের মাটিতে এসে এই বিচারের মুখোমুখি হতেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক খণ্ডনের শেষ দিন ছিল আজ। শুরুতেই পবিত্র কোরআনের সুরা নিসাসহ দুটি সুরার আয়াতের রেফারেন্স টেনে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, আজ আমি ন্যায়বিচার প্রত্যক্ষ ও সাক্ষী হতে এসেছি। এ মামলায় সব ধরনের দালিলিক-মৌখিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন প্রসিকিউশন পক্ষ। তবে আসামিরা কোনো নির্দেশ দেননি, বলেননি যুক্তি দেখিয়েছেন স্টেট ডিফেন্স। ভাগ্যিস বলেননি এ দেশে কোনো জুলাই রেভ্যুলেশন হয়নি, কেউ মারা যাননি কিংবা আহত হননি। অথচ বাংলাদেশে ১৪০০ মানুষ মারা গেলেন। এত বড় একটা জুলাই রেভ্যুলেশন হলো। হত্যাকাণ্ড হলো সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় স্টেট অ্যাপারেটাস (রাষ্ট্রযন্ত্র) ব্যবহার করে।

একপর্যায়ে তিনি বলেন, বিচার যত কঠিনই হোক যত বাধার প্রাচীর আসুক, সব বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা না সম্ভব হয় তাহলে আমরা জাতি হিসেবে আগামী দিন এগোতে পারবো না। আমি একটা বিচারের মানদণ্ড তুলে ধরতে চাই। ১৯৫১ সালে মাত্র এক মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করেছিলেন আমেরিকান আদালত। সেই বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন জুলিয়াস রোজেনবার্গ ও ইথেল রোজেনবার্গ। এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যারা দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে গুপ্তচর ভিত্তি করে যার কারণে কোরিয়াদ্বীপে লাখ লাখ নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। তাদের বিচার প্রক্রিয়ায় আমেরিকার সিভিল সোসাইটি থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব জেগে উঠেছিল। সব নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীরা এর বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। খালাস দিতে বলেছিলেন। এই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার অবস্থা গিয়েছিল। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুজন মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর অবশ্যই একটি বড় ঘটনা। আমরাও মনে করি নিশ্চয়ই এ আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করা, মৃত্যুদণ্ড হওয়া, কার্যকর হওয়া।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ন্যায় শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এই আসামিদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য-অগণিত মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে। পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে। ১০ বছরের আনাস মারা যাবে। পানি বিতরণ করা অবস্থায় মুগ্ধ মারা যাবে। বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবেন। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি বা এই দুজনের বিচার ব্যাহত হয় অথবা শাস্তি না হয় যেটা আইনে প্রেসক্রাইব করা আছে। তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসে একটি ভীরু কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সেই কারণেই আমরা মনে করি এই বিচারে আমরা যা প্রমাণ করেছি সেটা বিয়ন্ড অল রিজনেবল ডাউট (এ নিয়ে কোনো যুক্তিসংগত সন্দেহ নেই)।

আসামিদের প্রতি আকাঙ্ক্ষা রেখে আসাদুজ্জামান বলেন, আমি প্রত্যাশা করি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড নিশ্চিত করতে হলে এই আসামিরা বলবেন যেমন বলেছিলেন জুলিয়াস নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে। তিনি গোটা বিশ্বকে জানিয়েছিলেন স্বাধীনতা ও অন্য যেসব জিনিস জীবনকে সত্যিই সুন্দর-স্বার্থক করে তোলে তা পাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে খুব বেশি মূল্য দিতে হয়। তারা হয়তো এমন একটি উক্তি দিয়েই এই বিচারের রায় মেনে নেবেন। অন্য কোনো পথ বেছে নেবেন না। অন্য কোনো পথে তারা হাঁটবেন না। যেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসযোগ্য ভূমি গড়ে তোলা যায়। সবশেষ ট্রাইব্যুনালের কাছে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করেন দেশের এই সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।

এদিন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর এ মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।