ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা নাটোরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি-জাতীয় পার্টির ৫০ নেতাকর্মী বরিশালে জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মেহেরপুরে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বিএনপির পাঁচ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার ‘ফজু পাগলা’ উপাধিতে গর্বিত বিএনপি প্রার্থী ফজলুর রহমান: বলেন, আমার জন্য সারা দেশের মানুষ পাগল গৌরীপুরে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার জিয়া পরিবারের আদর্শ ধরে রাখতে জীবন দিতেও পিছু হটবো না: এস এম জাহাঙ্গীর শাপলাকলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে এনসিপি: জনগণের রাজনীতি গড়ে তুলতে আহ্বান নাহিদ ইসলামের গৌরীপুরে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ৪০

কোনো দলের প্রতি আনুগত্য না, প্রধান শত্রু ভারতীয় আগ্রাসন” — সাংবাদিক ইলিয়াস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুক্রবার প্রকাশিত এক পোস্টে জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি কেবল জামায়াতে ইসলামীর লোকজনের সঙ্গে ছবি তোলেন—এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল। ১৫ বছরের কঠিন সময়ে তিনি কখনও জামায়াতকে উঁচুতে তুলেছেন বা বিএনপিকে নিচু দেখানোর কোনো চেষ্টা করেননি বলে দাবি করেন।

পোস্টে তিনি বলেন, “বিএনপি কিংবা জামায়াতের ওপরে যেখানে নির্যাতন হয়েছে, সেখানেই মনে হয়েছে নিজের পরিবারের কেউ আক্রান্ত হয়েছে।” কঠিন সময়েও তার মুখ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কোনো বক্তব্য বের হয়নি—তবে তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি প্রতিদান পেয়েছেন, যোগ করেন ইলিয়াস।

ইলিয়াস বলেন, বর্তমানে যারা নিজেদের বিএনপির ‘বাপ-দাদা’ হিসেবে মানছেন, তারা কিছু বিএনপির সদস্যদের বিভ্রান্ত করে আমাদের উন্নত অবদান ভুলে যাওয়ার কারণ হয়েছে। তিনি পুনরুক্তি করেন, তার অবস্থান আগের মতোই অটল — “কোনো দলের প্রতি বেশি বা কম নয়, আমি চাই জামায়াত এবং বিএনপি সীমার মধ্যে থেকে রাজনৈতিক বিরোধিতা করবে।”

তিনি আরও বলেন, যদি ক্ষমতা থাকত তিনি বলতে চাইতেন—“বিএনপি পাঁচ বছর, জামায়াত পাঁচ বছর” করে ক্ষমতায় থাকুক—তবে পরিস্থিতি দিনে দিনে কঠোর হয়ে ওঠায় দুই দলের বিরোধ কখনো কখনো সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে। ফলে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তাকে মাঝে মাঝে জামায়াত পন্থী হিসেবে ট্যাগ করার চেষ্টা করা হয়, যা তিনি প্রত্যাখ्यान করে বলেন—“আমাকে ট্যাগ দিয়ে খুব একটা মজা পাওয়া যাবে না; কারণ আমি স্বঘোষিত রাজাকার, এর চেয়ে বড় ট্যাগ আর কি দেবেন?”

বঙ্গোপসাগরীয় রাজনীতি ছাড়াও ইলিয়াস তাঁর প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতীয় আগ্রাসনকে। তিনি বলেন, “সেখানে ভুল করলে জামায়াত-বিএনপি কাউকেই ছাড়ব না।” কয়েক দিন আগে জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ তাহেরের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথাও তিনি উল্লেখ করেন; সেখানে তার অভিযোগগুলি তিনি তুলে ধরেছেন এবং কিছু কটাক্ষের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন—বিশেষ করে সন্তোষ শর্মাকে তাদের অনুষ্ঠানে আনার প্রসঙ্গে।

শেষভাগে ইলিয়াস বলেন, “বিএনপির সবাইকে আমি শত্রু মনে করি না; তাদের মধ্যেও যারা ভারতপ্রীতি দেখায় তাদের সমালোচনা করি—তারা শোধরালে পরে ক্ষমা চেয়ে নেব।” বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা না করার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, “তারা দেখা করতে চায়নি”; আর জামায়াতের নেতারা দেখা করেছেন বলে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ১৯৭১ ও দেশভক্তির ব্যাপারে তীব্র অবস্থান নিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভারতপ্রীতি আর ৭১ নিয়ে চুলকানি দেখালে আমার হাত থেকে রেহাই নেই। কথা পরিষ্কার।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা

কোনো দলের প্রতি আনুগত্য না, প্রধান শত্রু ভারতীয় আগ্রাসন” — সাংবাদিক ইলিয়াস

আপডেট সময় ১২:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুক্রবার প্রকাশিত এক পোস্টে জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি কেবল জামায়াতে ইসলামীর লোকজনের সঙ্গে ছবি তোলেন—এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল। ১৫ বছরের কঠিন সময়ে তিনি কখনও জামায়াতকে উঁচুতে তুলেছেন বা বিএনপিকে নিচু দেখানোর কোনো চেষ্টা করেননি বলে দাবি করেন।

পোস্টে তিনি বলেন, “বিএনপি কিংবা জামায়াতের ওপরে যেখানে নির্যাতন হয়েছে, সেখানেই মনে হয়েছে নিজের পরিবারের কেউ আক্রান্ত হয়েছে।” কঠিন সময়েও তার মুখ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কোনো বক্তব্য বের হয়নি—তবে তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি প্রতিদান পেয়েছেন, যোগ করেন ইলিয়াস।

ইলিয়াস বলেন, বর্তমানে যারা নিজেদের বিএনপির ‘বাপ-দাদা’ হিসেবে মানছেন, তারা কিছু বিএনপির সদস্যদের বিভ্রান্ত করে আমাদের উন্নত অবদান ভুলে যাওয়ার কারণ হয়েছে। তিনি পুনরুক্তি করেন, তার অবস্থান আগের মতোই অটল — “কোনো দলের প্রতি বেশি বা কম নয়, আমি চাই জামায়াত এবং বিএনপি সীমার মধ্যে থেকে রাজনৈতিক বিরোধিতা করবে।”

তিনি আরও বলেন, যদি ক্ষমতা থাকত তিনি বলতে চাইতেন—“বিএনপি পাঁচ বছর, জামায়াত পাঁচ বছর” করে ক্ষমতায় থাকুক—তবে পরিস্থিতি দিনে দিনে কঠোর হয়ে ওঠায় দুই দলের বিরোধ কখনো কখনো সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে। ফলে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তাকে মাঝে মাঝে জামায়াত পন্থী হিসেবে ট্যাগ করার চেষ্টা করা হয়, যা তিনি প্রত্যাখ्यान করে বলেন—“আমাকে ট্যাগ দিয়ে খুব একটা মজা পাওয়া যাবে না; কারণ আমি স্বঘোষিত রাজাকার, এর চেয়ে বড় ট্যাগ আর কি দেবেন?”

বঙ্গোপসাগরীয় রাজনীতি ছাড়াও ইলিয়াস তাঁর প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতীয় আগ্রাসনকে। তিনি বলেন, “সেখানে ভুল করলে জামায়াত-বিএনপি কাউকেই ছাড়ব না।” কয়েক দিন আগে জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ তাহেরের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথাও তিনি উল্লেখ করেন; সেখানে তার অভিযোগগুলি তিনি তুলে ধরেছেন এবং কিছু কটাক্ষের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন—বিশেষ করে সন্তোষ শর্মাকে তাদের অনুষ্ঠানে আনার প্রসঙ্গে।

শেষভাগে ইলিয়াস বলেন, “বিএনপির সবাইকে আমি শত্রু মনে করি না; তাদের মধ্যেও যারা ভারতপ্রীতি দেখায় তাদের সমালোচনা করি—তারা শোধরালে পরে ক্ষমা চেয়ে নেব।” বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা না করার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, “তারা দেখা করতে চায়নি”; আর জামায়াতের নেতারা দেখা করেছেন বলে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ১৯৭১ ও দেশভক্তির ব্যাপারে তীব্র অবস্থান নিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভারতপ্রীতি আর ৭১ নিয়ে চুলকানি দেখালে আমার হাত থেকে রেহাই নেই। কথা পরিষ্কার।”