ঢাকা , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ছারছীনা পীর সাহেব হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন ২০২৬ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যরাতে ঢাকা গাজীপুর খুলনা সহ একযোগে ১৫ জেলার ডিসি বদল জয়পুরহাটে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের নয় সদস্য গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কেনো প্রতিবার অবহেলা— প্রশ্ন রুমিন ফারহানার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা; স্থানীয় সাংবাদিক মহলের নিন্দা

হিজাব নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘ইসলামি লেবাসে’ ক্লাস নিলেন রাবি অধ্যাপক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৩:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে

এবার হিজাব নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুনের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে এবার ইসলামি লেবাসে’ ক্লাস নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আল-কোরআন বুকে এবং ইসলামি লেবাসে ক্লাসে নেন তিনি।

এর আগে অধ্যাপক মামুনের একটি ফেসবুক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সংসদের নারীদের শপথ গ্রহণের ছবি দিয়ে ওই পোস্টে লেখা হয়- ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’

ফেসবুকে এ বিতর্কিত মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পরে দুঃখ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মামুন। এরই মধ্যে এ ফেসবুক পোস্টের জেরে সোমবার দিবাগত রাতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হিজাব নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করায় ওই শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ইসলামি লেবাসে এবং বুকে আল-কোরআন নিয়ে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যে ধর্ম পালন করুক সে তার ধর্মের পোশাকের বিষয়ে স্বাধীন। তিনি যদি হিন্দু হন তাহলে তিনি ধুতি পরে ক্লাসে যাবেন এ ব্যাপারে আমার কোনো ঘৃণা বা বিদ্বেষ থাকবে না। আমি একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আমার পোশাক, ধর্মগ্রন্থ নিয়ে ক্লাসে যাব এমন স্বাধীনতা প্রতিটা মানুষের আছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষককে সমাজের বিবেক মানা হয় তাদের কাছ থেকে এরকম কাজ প্রত্যাশা করা যায় না। শুধু বাংলাদেশ কেন বিশ্বের যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক মদ নিয়ে ক্লাসে যাবেন এটার অনুমোদন দেয় না। আমি সেই শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ করছি। তাই আমি নিজে আমার ইসলামিক পোশাক এবং ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন নিয়ে ক্লাস নিতে এসেছি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

হিজাব নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘ইসলামি লেবাসে’ ক্লাস নিলেন রাবি অধ্যাপক

আপডেট সময় ০৩:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

এবার হিজাব নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুনের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে এবার ইসলামি লেবাসে’ ক্লাস নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আল-কোরআন বুকে এবং ইসলামি লেবাসে ক্লাসে নেন তিনি।

এর আগে অধ্যাপক মামুনের একটি ফেসবুক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সংসদের নারীদের শপথ গ্রহণের ছবি দিয়ে ওই পোস্টে লেখা হয়- ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’

ফেসবুকে এ বিতর্কিত মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পরে দুঃখ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মামুন। এরই মধ্যে এ ফেসবুক পোস্টের জেরে সোমবার দিবাগত রাতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হিজাব নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করায় ওই শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ইসলামি লেবাসে এবং বুকে আল-কোরআন নিয়ে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যে ধর্ম পালন করুক সে তার ধর্মের পোশাকের বিষয়ে স্বাধীন। তিনি যদি হিন্দু হন তাহলে তিনি ধুতি পরে ক্লাসে যাবেন এ ব্যাপারে আমার কোনো ঘৃণা বা বিদ্বেষ থাকবে না। আমি একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আমার পোশাক, ধর্মগ্রন্থ নিয়ে ক্লাসে যাব এমন স্বাধীনতা প্রতিটা মানুষের আছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষককে সমাজের বিবেক মানা হয় তাদের কাছ থেকে এরকম কাজ প্রত্যাশা করা যায় না। শুধু বাংলাদেশ কেন বিশ্বের যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক মদ নিয়ে ক্লাসে যাবেন এটার অনুমোদন দেয় না। আমি সেই শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ করছি। তাই আমি নিজে আমার ইসলামিক পোশাক এবং ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন নিয়ে ক্লাস নিতে এসেছি।