ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সংবিধানে গণভোট নেই, কথায় কথায় রাস্তায় নামবেন না: আমীর খসরু হাসিনাকে প্রমোট করতে ভারত সর্বশক্তি ব্যবহার করছে: দাবি রনির মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন, শোল্ডার- হাতে ধরতো: বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক অধিনায়কের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান জবিতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জমকালো কাওয়ালি সন্ধ্যা দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব

২৫০ আসনে একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত বিএনপির, তরুণদেরকে অগ্রাধিকার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৪:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৩০৩ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই আড়াইশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি। কে কোন আসনে প্রার্থী হবেন—এই সময়ের মধ্যে দল থেকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে; অর্থাৎ সবুজ সংকেত দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এতে করে দলের কোন্দল কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে তফশিলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। নানা দিক বিবেচনায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির শীর্ষ কয়েক নেতার আসনে কাউকে সবুজ সংকেত দেবে না বিএনপি। পাশাপাশি মিত্র দল ও জোটের কয়েক শীর্ষ নেতার আসনেও একই কৌশল নেবে দলটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসাবে সোমবার মাগুরা, চট্টগ্রাম ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হয়। তবে ঢাকা বিভাগ বাদে এখন যেসব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ডাকা হচ্ছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বিরোধ আছে। মনোনয়ন কেন্দ্র করে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা চলছে। এর আগে রোববার সিলেট বিভাগের চার জেলার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৈঠকে মনোনয়ন, নির্বাচনি প্রস্তুতি, প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন তিনি। মতবিনিময় সভায় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শিগ্গিরই একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। ঢাকা ছাড়া সব বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ডেকে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঢাকা বিভাগের আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও ডাকা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘চমক বলতে ইয়াং জেনারেশন এবার আগের চেয়ে আরেকটু বেশি অগ্রাধিকার পাবে। কারণ, তারা অনেক বেশি অ্যাকটিভ। নারীরাও যথেষ্ট অগ্রাধিকার পাবে।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এলাকায় সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থীরাই বিএনপির মনোনয়ন পাবেন। একই আসনে অনেক প্রার্থী থাকতে পারেন। সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি জনগণের কাছে কার অবস্থান ভালো। এলাকায় কে বেশি জনপ্রিয়, সেই খোঁজখবর নিচ্ছি। এজন্য তৃণমূল থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সিনিয়র নেতারা যার যার দায়িত্ব পালন করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুলশান কার্যালয়ে ডাকা অন্তত দশজন সম্ভাব্য প্রার্থী জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিটি আসনে ৪ থেকে ৫ জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন। এর মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে ২ থেকে ৩ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডাকা হয়। সভায় বিএনপির মহাসচিব দলীয় একক প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনার জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশনা দেন। সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক বলা হয়েছে একক প্রার্থী দেওয়া হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণকে সন্তুষ্ট এবং ভোটারদের মন জয় করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কয়েকটি আসনে ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে একক প্রার্থীকে ফোন করে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলে তাদের ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন।

ওইসব প্রার্থী হলেন—বগুড়া-১ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মীর শাহে আলম, বগুড়া-৩ আসনে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন এবং বগুড়া-৫ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মোশাররফ হোসেন জানান, ৫টি আসনে একক প্রার্থী হিসাবে ৫ জনকে মাঠে কাজ করার জন্য জানিয়ে দিয়েছেন। বাকি বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসন দুটি জিয়া পরিবারের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, সবাইকে আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ভূমিকা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। যারা মনেপ্রাণে বিএনপি করেন, তাদের দলের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টির একক প্রার্থীকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি মাঠের কাজ আরও জোরদার করতে বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা পেয়ে স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য তাদের এ বার্তা দিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তারা দলের হাইমান্ডের কাছ থেকে সরাসরি কোনো কল পাননি।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনি গণসংযোগ করছেন। এছাড়াও সাতক্ষীরার একটি, নাটোরের একটি এবং ঢাকার ৫টি আসনেরও একক প্রার্থীকে মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রার্থী মনোনয়নে তরুণদের আগ্রাধিকার- অন্যদিকে প্রার্থী মনোনয়নে তরুণদের আগ্রাধিকার দেবে বিএনপি। প্রায় প্রতিটি আসনেই এবার তরুণ প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। অনেক আসনে আছেন একাধিক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, জেন-জি ও তারুণ্যের এবার ভোট বেশি। সে বিবেচনায় এবার তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু আসনে স্থানীয়ভাবে অনেক জনপ্রিয় নেতা রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের একদিকে রয়েছে ক্লিন ইমেজ, আবার কর্মীবান্ধবও। এ ধরনের তরুণ নেতাদের প্রার্থী করা হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত হবে। তবে প্রার্থী নির্ধারণে যদি ভুল সিদ্ধান্ত হয়, সেক্ষেত্রে ওইসব আসনে প্রার্থীর বিজয় নাও হতে পারে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবিধানে গণভোট নেই, কথায় কথায় রাস্তায় নামবেন না: আমীর খসরু

২৫০ আসনে একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত বিএনপির, তরুণদেরকে অগ্রাধিকার

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই আড়াইশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি। কে কোন আসনে প্রার্থী হবেন—এই সময়ের মধ্যে দল থেকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে; অর্থাৎ সবুজ সংকেত দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এতে করে দলের কোন্দল কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে তফশিলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। নানা দিক বিবেচনায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির শীর্ষ কয়েক নেতার আসনে কাউকে সবুজ সংকেত দেবে না বিএনপি। পাশাপাশি মিত্র দল ও জোটের কয়েক শীর্ষ নেতার আসনেও একই কৌশল নেবে দলটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসাবে সোমবার মাগুরা, চট্টগ্রাম ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হয়। তবে ঢাকা বিভাগ বাদে এখন যেসব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ডাকা হচ্ছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বিরোধ আছে। মনোনয়ন কেন্দ্র করে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা চলছে। এর আগে রোববার সিলেট বিভাগের চার জেলার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৈঠকে মনোনয়ন, নির্বাচনি প্রস্তুতি, প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন তিনি। মতবিনিময় সভায় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শিগ্গিরই একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। ঢাকা ছাড়া সব বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ডেকে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঢাকা বিভাগের আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও ডাকা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘চমক বলতে ইয়াং জেনারেশন এবার আগের চেয়ে আরেকটু বেশি অগ্রাধিকার পাবে। কারণ, তারা অনেক বেশি অ্যাকটিভ। নারীরাও যথেষ্ট অগ্রাধিকার পাবে।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এলাকায় সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থীরাই বিএনপির মনোনয়ন পাবেন। একই আসনে অনেক প্রার্থী থাকতে পারেন। সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি জনগণের কাছে কার অবস্থান ভালো। এলাকায় কে বেশি জনপ্রিয়, সেই খোঁজখবর নিচ্ছি। এজন্য তৃণমূল থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সিনিয়র নেতারা যার যার দায়িত্ব পালন করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুলশান কার্যালয়ে ডাকা অন্তত দশজন সম্ভাব্য প্রার্থী জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিটি আসনে ৪ থেকে ৫ জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন। এর মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে ২ থেকে ৩ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডাকা হয়। সভায় বিএনপির মহাসচিব দলীয় একক প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনার জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশনা দেন। সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক বলা হয়েছে একক প্রার্থী দেওয়া হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণকে সন্তুষ্ট এবং ভোটারদের মন জয় করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কয়েকটি আসনে ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে একক প্রার্থীকে ফোন করে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলে তাদের ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন।

ওইসব প্রার্থী হলেন—বগুড়া-১ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মীর শাহে আলম, বগুড়া-৩ আসনে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন এবং বগুড়া-৫ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মোশাররফ হোসেন জানান, ৫টি আসনে একক প্রার্থী হিসাবে ৫ জনকে মাঠে কাজ করার জন্য জানিয়ে দিয়েছেন। বাকি বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসন দুটি জিয়া পরিবারের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, সবাইকে আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ভূমিকা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। যারা মনেপ্রাণে বিএনপি করেন, তাদের দলের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টির একক প্রার্থীকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি মাঠের কাজ আরও জোরদার করতে বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা পেয়ে স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য তাদের এ বার্তা দিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তারা দলের হাইমান্ডের কাছ থেকে সরাসরি কোনো কল পাননি।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনি গণসংযোগ করছেন। এছাড়াও সাতক্ষীরার একটি, নাটোরের একটি এবং ঢাকার ৫টি আসনেরও একক প্রার্থীকে মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রার্থী মনোনয়নে তরুণদের আগ্রাধিকার- অন্যদিকে প্রার্থী মনোনয়নে তরুণদের আগ্রাধিকার দেবে বিএনপি। প্রায় প্রতিটি আসনেই এবার তরুণ প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। অনেক আসনে আছেন একাধিক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, জেন-জি ও তারুণ্যের এবার ভোট বেশি। সে বিবেচনায় এবার তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু আসনে স্থানীয়ভাবে অনেক জনপ্রিয় নেতা রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের একদিকে রয়েছে ক্লিন ইমেজ, আবার কর্মীবান্ধবও। এ ধরনের তরুণ নেতাদের প্রার্থী করা হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত হবে। তবে প্রার্থী নির্ধারণে যদি ভুল সিদ্ধান্ত হয়, সেক্ষেত্রে ওইসব আসনে প্রার্থীর বিজয় নাও হতে পারে।