ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলায় ‘উদ্বিগ্ন’ পাকিস্তান, জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৮:৪১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৪২২ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমায় ইরানের প্রধান তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে এই হামলাকে ‘ধারাবাহিক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করে ইসলামাবাদ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে আঞ্চলিক অস্থিরতা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয় বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ানকে ফোন করে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”

এর আগে, ২১ জুন দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় একযোগে বাঙ্কার-ধ্বংসকারী বোমা দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় স্থাপনাগুলোর অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেনি ওয়াশিংটন বা তেহরান।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, এই মার্কিন হামলার আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি গোপন অভিযানে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকাকে নিশানা করে।

এ হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীও।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে,
“আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি অটুট। তবে এমন একতরফা সামরিক আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলায় ‘উদ্বিগ্ন’ পাকিস্তান, জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

আপডেট সময় ০৮:৪১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমায় ইরানের প্রধান তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে এই হামলাকে ‘ধারাবাহিক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করে ইসলামাবাদ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে আঞ্চলিক অস্থিরতা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয় বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ানকে ফোন করে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”

এর আগে, ২১ জুন দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় একযোগে বাঙ্কার-ধ্বংসকারী বোমা দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় স্থাপনাগুলোর অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেনি ওয়াশিংটন বা তেহরান।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, এই মার্কিন হামলার আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি গোপন অভিযানে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকাকে নিশানা করে।

এ হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীও।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে,
“আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি অটুট। তবে এমন একতরফা সামরিক আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে।”