ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন ১৩ নভেম্বর কী হবে ঢাকায়, চিন্তায় কলকাতার আ.লীগ নেতারাও লকডাউন’ রুখে দেয়ার ঘোষণা পুলিশের, কী করবে আওয়া’মী লী’গ? গণভোট না হলে ২০২৯ সালের নির্বাচন ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথার মতো’

এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ইতালি!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

এবার গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়েছে ইতালি, এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের শারম আল-শেইখে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেলোনি বলেন, ‘পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনকে ইতালির স্বীকৃতি আরও কাছাকাছি চলে আসবে।’ ইতালির বার্তা সংস্থা এএনএসএ বরাত এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

জর্জিয়া মেলোনি জানান, গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের উদ্যোগেও ইতালি সমর্থন দেবে। গাজার স্থিতিশীলতায় সহায়তার অংশ হিসেবে প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইতালির কারাবিনিয়ারি (সামরিক পুলিশ) মোতায়েন করতেও প্রস্তুত বলে জানান মেলোনি।

তিনি আরও বলেন, ইতালি প্রস্তুত, এটি একটি ঐতিহাসিক সুযোগ ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমি গর্বিত, ইতালি এই মুহূর্তের অংশ হতে পেরেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বড় সাফল্য বলেও উল্লেখ করেন মেলোনি। তিনি বলেন, ‘আমরা তার সফলতা কামনা করি, শুরু হোক ইউক্রেন থেকে।’

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ২৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত তার পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় এবং ধীরে ধীরে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত শুক্রবার থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়। পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে গাজায় নতুন শাসন কাঠামো গঠন, একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রস্তাব রয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি

এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ইতালি!

আপডেট সময় ০২:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

এবার গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়েছে ইতালি, এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের শারম আল-শেইখে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেলোনি বলেন, ‘পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনকে ইতালির স্বীকৃতি আরও কাছাকাছি চলে আসবে।’ ইতালির বার্তা সংস্থা এএনএসএ বরাত এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

জর্জিয়া মেলোনি জানান, গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের উদ্যোগেও ইতালি সমর্থন দেবে। গাজার স্থিতিশীলতায় সহায়তার অংশ হিসেবে প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইতালির কারাবিনিয়ারি (সামরিক পুলিশ) মোতায়েন করতেও প্রস্তুত বলে জানান মেলোনি।

তিনি আরও বলেন, ইতালি প্রস্তুত, এটি একটি ঐতিহাসিক সুযোগ ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমি গর্বিত, ইতালি এই মুহূর্তের অংশ হতে পেরেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বড় সাফল্য বলেও উল্লেখ করেন মেলোনি। তিনি বলেন, ‘আমরা তার সফলতা কামনা করি, শুরু হোক ইউক্রেন থেকে।’

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ২৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত তার পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় এবং ধীরে ধীরে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত শুক্রবার থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়। পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে গাজায় নতুন শাসন কাঠামো গঠন, একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রস্তাব রয়েছে।