ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক ক্লাসে ঢুকে ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীকে মেরে মাথা ফাটালেন শিক্ষক বোরকা ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নেই আফগান নারীদের ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন

নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির নায়েক, প্রত্যর্পণের আশা ভারতের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০১:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৮৯ বার পড়া হয়েছে

 

আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসছেন ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে তার এ সফরকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাকে ভারতের হাতে তুলে দেবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম। জানা গেছে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্পার্ক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় এই দাতব্য অনুষ্ঠানটির আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গত ৩০ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,

“জাকির নায়েক ভারতে পলাতক আসামি এবং আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত। তিনি যে দেশেই যান না কেন, আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।”

৬০ বছর বয়সী এই ইসলামী বক্তা ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ‘উগ্রবাদ উসকে দেওয়া’ ও অর্থপাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। একই সময়ে তার পরিচালিত পিস টিভি-এর সম্প্রচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তিনি ভারত ত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান। ভারতে ফেরার বিষয়ে নায়েক একাধিকবার বলেছেন,

“ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আমি ভারতে ফিরব না।”

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার পর হামলাকারীদের কয়েকজন তার বক্তব্য থেকে প্রভাবিত হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। ওই সময় বাংলাদেশ সরকার তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই প্রেক্ষাপটেই নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির নায়েক, আর ভারত তার প্রত্যর্পণের আশায় রয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক

নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির নায়েক, প্রত্যর্পণের আশা ভারতের

আপডেট সময় ০১:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

 

আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসছেন ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে তার এ সফরকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাকে ভারতের হাতে তুলে দেবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম। জানা গেছে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্পার্ক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় এই দাতব্য অনুষ্ঠানটির আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গত ৩০ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,

“জাকির নায়েক ভারতে পলাতক আসামি এবং আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত। তিনি যে দেশেই যান না কেন, আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।”

৬০ বছর বয়সী এই ইসলামী বক্তা ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ‘উগ্রবাদ উসকে দেওয়া’ ও অর্থপাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। একই সময়ে তার পরিচালিত পিস টিভি-এর সম্প্রচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তিনি ভারত ত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান। ভারতে ফেরার বিষয়ে নায়েক একাধিকবার বলেছেন,

“ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আমি ভারতে ফিরব না।”

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার পর হামলাকারীদের কয়েকজন তার বক্তব্য থেকে প্রভাবিত হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। ওই সময় বাংলাদেশ সরকার তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই প্রেক্ষাপটেই নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির নায়েক, আর ভারত তার প্রত্যর্পণের আশায় রয়েছে।